পহেলা ফাল্গুন ও বিশ্ব ভালোবাসা দিবসে জমজমাট পিঠা উৎসবের আয়োজন করলো ঢাকার অন্যতম গ্রিন মাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুল। ক্ষুদে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে বাহারি পিঠাপুলির সঙ্গে পরিচিত করাতে মঙ্গলবার (১৪ ফেব্রুয়ারি) বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার ই-ব্লক সংলগ্ন স্কুলটি সেজেছিলো ভিন্ন সাজে।
পিঠার স্বাদ নেয়ার পাশাপাশি মন মাতানো সংগীত ও নৃত্যের ছন্দে নেচেছে কোমলমতি শিশুরা। দেখা যায়, নানা রকম পিঠাপুলির পসরা সাজিয়ে রাখা আছে।
এর মধ্যে কতিপয় পিঠা একেবারেই নতুন আবার কিছু অতিপরিচিত। প্রতিটা পিঠার ওপরে লেখা আছে পরিচিতি নাম। এসব পিঠার নামও বেশ বাহারি। শিশুরা বাবা-মায়ের হাত ধরে ঘুরে দেখছেন স্টল।পিঠা উৎসবে ছিলো ভাপাপুলি, দুধপুলি, ঝিনুক, পাটিসাপটা, জামাই সোহাগী, গোলাপ, চিতই, পায়েস, পুডিং, তেল পিঠা, দুধ চিতই, ফুল পিঠা, ক্ষির, মুঠা পিঠা, রস গোলাপ ও কেকসহ অর্ধশতাধিক পিঠাপুলি।
জানা-অজানা পিঠা সম্পর্কে জানতে পেরে এবং স্বাদ গ্রহণ করতে পেরে খুশি শিক্ষার্থীরা। মায়ের সঙ্গে পিঠা উৎসবে আসা নার্সারির শিক্ষার্থী উমামাহ্ রহমান কথামনি বলেন, ‘এখানে এসে আমরা অনেক আনন্দ পেয়েছি। অনেক রকম পিঠার স্বাদ নিতে পেরেছি। আমাদের অনেক ভালো লেগেছে। ’
জান্নাত নামে আরেক শিক্ষার্থী বলেন, আমাদের স্কুলে অনেক সুন্দর আয়োজন হয়েছে। এখানে অনেক রকম পিঠার সঙ্গে পরিচিত হলাম; নতুন নতুন পিঠা খেলাম। অনেক ভালো লেগছে। ’
গ্রিন মাইন্ড ইন্টারন্যাশনাল স্কুলের প্রিন্সিপাল সাদেকা বানু আঁখি বলেন, ‘ফাল্গুনের প্রথম দিনে শীত পরবর্তী বসন্তের শুরুতে আমরা এই আয়োজন করেছি। ঋতু পরিবর্তনের সময় বিভিন্ন বাহারী পিঠার মাধ্যমে মেহমান আপ্যায়নের যে ঐতিহ্য, তা ঢাকা শহরের শিশুরা ভুলে যেতে বসেছে। তাছাড়া ফাস্টফুড খাওয়ায় তাদের স্বাস্থ্যহানী ঘটছে। এই আয়োজনের মাধ্যমে কোমলমতি শিক্ষার্থীরা কিছুটা হলেও এসব ঐতিহ্য সম্পর্কে জানতে ও ধারণ করতে পারবে বলে আমরা মনে করি। ’