রমজানে নিত্যপণ্য আমদানিতে জটিলতা

রমজানে নিত্যপণ্য আমদানিতে জটিলতা

রিফাত তাসনুভা

ডলার সংকট ও এলসি জটিলতায় আমদানি কমেছে রোজার নিত্যপণ্যের। এরই মধ্যে প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও। চাহিদার তুলনায় পণ্য আমদানি কম হওয়ায় বেড়েছে ছোলা, ডাল, খেজুর, ভোজ্যতেল ও চিনির দাম।

আমদানিকারকরা বলছেন, সবচেয়ে বেশি চাহিদায় থাকা এসব পণ্যের আমদানিতে সময় লাগছে এক থেকে দেড় মাস।

এমন পরিস্থিতিতে ব্যাংকগুলো জরুরি পণ্যের এলসি খোলায় পাশে না দাঁড়ালে পণ্যের বাড়তি দাম গুনতে হতে পারে ভোক্তাদের। এমনটাই মনে করছেন আমদানিকারক ও অর্থনীতিবিদরা।

রোজার বাকি আর এক মাস। এরই মধ্যে বেড়েছে ছোলা, ডাল, খেজুরসহ আমদানি নির্ভর জরুরি ভোগ্যপণ্যের দাম।

এক মাস ব্যবধানে ছোলার দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ থেকে ১৫ টাকা। বিক্রি হচ্ছে ৯০ থেকে ৯৫ টাকা দরে। আর মুসুর ডাল বিক্রি হচ্ছে ১৪০ টাকা কেজিতে। খোলা চিনি বিক্রি হচ্ছে ১১০ টাকায়। সপ্তাহের ব্যবধানে বেড়েছে ভোজ্য তেলের দামও। আর পাশাপাশি অস্থির মসলার বাজারও।

আমদানিকারকরা বলছেন, বৈশ্বিক বাণিজ্যে মন্দার কারণে ডলারের দাম বেড়ে যাওয়ায় এবং এলসি জটিলতায় এসব পণ্য সময়মত আমদানি করতে পারছেন না তারা। এলসি খোলার প্রক্রিয়া সহজ ও শিথিল না হলে রোজার আগে চাহিদা অনুযায়ী পণ্য আমদানি সম্ভব নয় বলেও মত তাদের।

বাজারের সঙ্গে সমন্বয় রেখে দাম বেড়েছে টিসিবির কোনো কোনো পণ্যেরও। তবে রমজানের আগে ও মাঝামাঝি সময়ে রাজধানীর কার্ডধারীদের বাণিজ্য মন্ত্রণালয় নির্ধারিত দামে দেয়া হবে ছোলা ও খেজুর।

এ বিষয়ে অর্থনীতিবিদ মাহফুজ কবির জানান, রোজায় বাজার স্থিতিশীল রাখতে ঋণপত্র খোলায় সহায়তার বিকল্প নেই। তিনি জানান, নয়তো নিত্য পণ্যের অস্বাভাবিক দাম বৃদ্ধির শঙ্কাও রয়েছে।

রমজানের বেশীরভাগ পণ্যই আমদানি নির্ভর। তাই এলসি সুবিধা নিশ্চিত করার পাশাপাশি এসব পণ্যের দাম সহনীয় রাখার দাবি ভোক্তাদের।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর