রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক ও স্টাফদের সাথে আনসার সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।
বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাত আনসার সদস্য এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিন দুপুর সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) মো. সেকান্দর আলী, ওবায়দুর রহমান, সুজন আলী, আরিফুল ইসলাম, শামিম হোসেন, রাসেল আহামেদ, মনির হোসেন।
এপিসি সেকান্দর আলী বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ঐ ভবনের প্রশাসনিক বিভাগে নামাজের স্থান দিয়ে বুট পরিহিত অবস্থায় এক আনসার সদস্য পাশের ভবনে যাওয়ার সময়ে সিভিল পোশাকে শাহাজাদা নামে এক চিকিৎসক বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। তিনি দাবি করেন, তাদের ঐ আনসার সদস্যকে চড় মেরেছেন চিকিৎসক শাহাজাদা।
তবে তিনি যে চিকিৎসক তা আমাদের ঐ আনসার সদস্য বুঝতে পারেননি। সেই আনসার সদস্য আমাদেরকে জানান, এক ব্যক্তি তাকে মারধর করেছে। পরে ৮/১০ জন আনসার সদস্য সেখানে উপস্থিত হলে ওই চিকিৎসকের সাথে তর্কাতর্কি হয়। পরে জানা যায় তিনি সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক।
এপিসি আরও বলেন, পাশের ভবনে যাওয়ার ঐ টাই ছিল একমাত্র পথ। পরে সে দিনের মতো ঘটনাটি শেষ হয়। বিষয়টি আমাদের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মাহফুজুর রহমান ও হাসপাতাল পরিচালককে অবিহিত করি। এরপর ঘটনাটি নিয়ে সমঝোতার জন্য ডাকেন ঐ চিকিৎসক।
বেলা এগারোটার দিকে আমরা সেখানে গেলে ঐ চিকিৎসক এবং তার সহযোগী হাসপাতালের স্টাফরা একসাথে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। জানা গেছে, ঐ মারামারিতে উভয় পক্ষের ১৪-১৫ জন আহত হয়েছেন।
ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আহতরা জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের অবস্থা গুরুতর নয়।
news24bd.tv/FA