ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে চিকিৎসক-স্টাফদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ

সংগৃহীত ছবি

ক্যান্সার ইন্সটিটিউটে চিকিৎসক-স্টাফদের সঙ্গে আনসার সদস্যদের সংঘর্ষ

রাজধানীর মহাখালীর জাতীয় ক্যান্সার গবেষণা ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে চিকিৎসক ও স্টাফদের সাথে আনসার সদস্যদের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।

বুধবার (১৫ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যায় সাত আনসার সদস্য এ ঘটনায় ঢাকা মেডিকেলে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। এদিন দুপুর সাড়ে ১১টায় এ ঘটনা ঘটে। আহতরা হচ্ছেন, অ্যাসিস্ট্যান্ট প্লাটুন কমান্ডার (এপিসি) মো. সেকান্দর আলী, ওবায়দুর রহমান, সুজন আলী, আরিফুল ইসলাম, শামিম হোসেন, রাসেল আহামেদ, মনির হোসেন।

এদের বেশিরভাগের বয়স ৩৫ থেকে ৪৫ বছর।

এপিসি সেকান্দর আলী বলেন, মঙ্গলবার দুপুরে ঐ ভবনের প্রশাসনিক বিভাগে নামাজের স্থান দিয়ে বুট পরিহিত অবস্থায় এক আনসার সদস্য পাশের ভবনে যাওয়ার সময়ে সিভিল পোশাকে শাহাজাদা নামে এক চিকিৎসক বিষয়টি নিয়ে প্রতিবাদ করেন। এ নিয়ে তাদের মধ্যে তর্কবিতর্ক হয়। তিনি দাবি করেন, তাদের ঐ আনসার সদস্যকে চড় মেরেছেন চিকিৎসক শাহাজাদা।

তবে তিনি যে চিকিৎসক তা আমাদের ঐ আনসার সদস্য বুঝতে পারেননি। সেই আনসার সদস্য আমাদেরকে জানান, এক ব্যক্তি তাকে মারধর করেছে। পরে ৮/১০ জন আনসার সদস্য সেখানে উপস্থিত হলে ওই চিকিৎসকের সাথে তর্কাতর্কি হয়। পরে জানা যায় তিনি সেখানকার দায়িত্বরত চিকিৎসক।

এপিসি আরও বলেন, পাশের ভবনে যাওয়ার ঐ টাই ছিল একমাত্র পথ। পরে সে দিনের মতো ঘটনাটি শেষ হয়। বিষয়টি আমাদের প্লাটুন কমান্ডার (পিসি) মাহফুজুর রহমান ও হাসপাতাল পরিচালককে অবিহিত করি।  এরপর ঘটনাটি নিয়ে সমঝোতার জন্য ডাকেন ঐ চিকিৎসক।

বেলা এগারোটার দিকে আমরা সেখানে গেলে ঐ চিকিৎসক এবং তার সহযোগী হাসপাতালের স্টাফরা একসাথে আমাদের ওপর হামলা চালায়। এসময়ে উভয় পক্ষের মধ্যে মারামারি লেগে যায়। এতে আমাদের বেশ কয়েকজন আহত হয়েছে। জানা গেছে, ঐ মারামারিতে উভয় পক্ষের ১৪-১৫ জন আহত হয়েছেন।

ঢামেক পুলিশ ক্যাম্পের পুলিশ পরিদর্শক বাচ্চু মিয়া বলেন, আহতরা জরুরি বিভাগে প্রাথমিক চিকিৎসা নিয়েছেন। আহতদের অবস্থা গুরুতর নয়।

news24bd.tv/FA

এই রকম আরও টপিক

সম্পর্কিত খবর