সিলেটকে হারিয়ে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

সংগৃহীত ছবি

সিলেটকে হারিয়ে বিপিএল চ্যাম্পিয়ন কুমিল্লা

অনলাইন ডেস্ক

চতুর্থবারের মতো বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগের (বিপিএল) শিরোপা জিতল কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ানস। আজ মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সিলেট স্ট্রাইকার্সকে ৭ উইকেটে হারিয়ে টানা দ্বিতীয়বারের মতো চ্যাম্পিয়ন হলো কুমিল্লা। গত বছর ফরচুন বরিশালকে হারিয়ে শিরোপা জিতেছিল ফ্র্যাঞ্চাইজিটি।  এর আগে ২০১৫ ও ২০১৯ সালেও বিপিএল ট্রফি ঘরে তুলেছিল কুমিল্লা।

টস হেরে আগে ব্যাট করা সিলেট ১৭৫ রানের পুঁজি নিয়ে ভালোই লড়ছিল কুমিল্লার বিপক্ষে। তবে সিলেটকে ম্যাচে রাখা রুবেল হোসেনই আবার ডুবিয়েছেন দলকে। ষষ্ঠ ওভারে ডিপ স্কয়ার লেগে ৮ রান করা জনসন চার্লসের ক্যাচ ছাড়েন রুবেল। পাঁচবারের চেষ্টায়ও সহজ ক্যাচ তালুবন্দী করতে পারেননি তিনি।

জীবন পেয়ে সেই চার্লসই কুমিল্লাকে এনে দেন শিরোপা। ৫২ বলে ৭৯ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন এই ক্যারিবিয়ান ব্যাটার।

সেই ক্যাচ মিস ছাড়াও ১৭তম ওভারে রুবেল খরচ করেন ২৩ রান। রুবেলের আক্ষেপ বাড়ানোর কাজটি করেন চার্লসই। ওই ওভারের শেষ তিনে বলে ১৬ রান তুলে নেন তিনি। প্রথম তিন ওভারে মাত্র ১৬ রান খরচ করে ২ উইকেট নেওয়া রুবেলের বোলিং ফিগার তাই কোটা পূরণ শেষে দাঁড়ায় ২-৩৯!

লক্ষ্য তাড়ায় নেমে কুমিল্লা করেছিল ঝোড়ো শুরু। তবে সুনীল নারাইনকে ফিরিয়ে সেই ঝড় সাইক্লোনে রূপ হতে দেননি রুবেলই। তৃতীয় ওভারে নারাইনকে ১০ রানে ফেরান তিনি। চতুর্থ ওভারে বোলিংয়ে এসেই আঘাত হানেন জর্জ লিন্ডে। তিনি ফেরান ২ রান করা ইমরুল কায়েসকে। এরপরই বড় জুটি বাঁধেন লিটন দাস ও জনসন চার্লস।

ফাইনালে লিটন শুরু থেকেই ছিলেন বেশ সাবলীল। খেলেন দারুণ সব শট। তবে ফিফটি তুলে নেওয়ার পরেই এই ওপেনার ফেরেন সাজঘরে। রুবেলকে বড় শট খেলতে গিয়ে নাজমুল হোসেন শান্তর দুর্দান্ত এক ক্যাচে পরিণত হন তিনি। ফাইনালে ৫৫ রান রান আসে তার ব্যাট থেকে।  

লিটন-চার্লসের ৭০ রানের জুটি ভাঙার পর  কিছুটা চাপে পড়ে কুমিল্লা। তবে শেষদিকে ঝলসে ওঠে চার্লসের ব্যাট। স্নায়ুর চাপ সামলে গুরুত্বপূর্ণ সময়ে তিনি রীতিমতো তাণ্ডব চালান সিলেট বোলারদের ওপর। চার্লস ফিফটি করেন ৪১ বলে। এরপর ১১ বলে তার ব্যাট থেকে আসে ২৮ রান। তাকে যোগ্য সঙ্গ দেন মঈন আলীও। ১৭ বলে ২৫ রানের ইনিংস খেলে অপরাজিত থাকেন তিনি। ফলে ৪ বল হাতে থাকতেই চতুর্থ শিরোপা নিশ্চিত করে কুমিল্লা।  

সিলেট বোলারদের মধ্যে সবচেয়ে বেশি ঝড় গেছে তরুণ পেসার তানজিম হাসান সাকিবের ওপর দিয়ে। ৪ ওভারে ৫০ রান খরচ করেন তিনি। আর দলের মধ্যে সবচেয়ে কিপটে বোলিং করেন লিন্ডে। ৪ ওভারে তিনি দেন ১৪ রান। কিন্তু রুবেলের ওই ক্যাচ মিস আর ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়া ১৭তম ওভারে তার দেওয়া ২৩ রান লিন্ডের দুর্দান্ত বোলিং ম্লান করে দেয়।

news24bd.tv/সাব্বির