১০০ বছরেরও বেশি সময় পর গন্তব্যে পৌঁছাল চিঠি, হতভম্ব এলাকাবাসী!
১০০ বছরেরও বেশি সময় পর গন্তব্যে পৌঁছাল চিঠি, হতভম্ব এলাকাবাসী!

সংগৃহীত ছবি

১০০ বছরেরও বেশি সময় পর গন্তব্যে পৌঁছাল চিঠি, হতভম্ব এলাকাবাসী!

অনলাইন ডেস্ক

পুরো বিশ্ব এখন হাতের মুঠোয়। পৃথিবীর এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তেও যে কোনো বার্তা পাঠাতে যখন সময় লাগে মাত্র কয়েক সেকেন্ড, ঠিক এই সময়ে মিললো ভিন্ন খবর! একশ বছরেরও বেশি সময় পর গন্তব্য পৌঁছেছে একটি চিঠি। এ ঘটনায় চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে লন্ডনের হ্যামলেটে। হতভম্ব হয়ে পড়েছেন ঐ এলাকার বাসিন্দারা।

এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে মার্কিন সংবাদ সিএনএন।

প্রতিবেদনে জানা যায়, এক শতাব্দীরও বেশি সময় পর একটি চিঠি তার গন্তব্যস্থলে পৌঁছেছে। ১৯১৬ সালে ফেব্রুয়ারিতে চিঠিটি প্রাপকের উদ্দেশ্যে পাঠানো হয়। এতে প্রাপকের ঠিকানা লেখা ছিল, হ্যামলেট রোড, দক্ষিণ লন্ডন।

চিঠিটি বর্তমানে রয়েছে হ্যামলেট রোডের ফিনলে গ্লেন নামের এক ব্যক্তির কাছে। তিনি বলেন, আমরা ১৬ সাল লেখাটা লক্ষ্য করেছিলাম। ভেবেছিলাম, এটি ২০১৬ সালে লেখা। পরে চিঠির স্ট্যাম্পের দিকে নজর গেলে দেখি, সেখানে একজন রাজার ছবি। বিষয়টি আমাকে ধাক্কা দেয়। কারণ, আমার জানা মতে স্ট্যাম্পে রানির ছবি থাকার কথা।

গ্লেন আরো বলেন, কয়েক বছর আগে চিঠিটি আমাদের বাড়িতে পৌঁছায়। তবে, বেশ কয়েকদিন আগে আমি এটি হাতে পেয়েছি। আমার ধারণা, ঐতিহাসিক চিঠিটি গবেষকদের কাজে লাগবে।

চিঠিটি যে খামে রয়েছে, সেখানে এক পেন্সের (যুক্তরাজ্যের মুদ্রা) একটি স্ট্যাম্প রয়েছে। ঐ স্ট্যাম্পে কিং জর্জের ছবি রয়েছে। চিঠিটি প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময়ে লেখা হয়েছিল, প্রয়াত রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের জন্মের আগে।

যুক্তরাজ্যের পোস্টাল সার্ভিস অ্যাক্ট ২০০০ অনুযায়ী, অপরের নামে কোনো চিঠি পেলে সেটি খুলে দেখা আইনত অপরাধ। এর জন্য সাজা বা জরিমানা গুনতে হবে।

২৭ বছর বয়সী গ্লেন বলেন, আমরা বুঝতে পারি এটি পুরনো, তাই আমরা এটি খোলার সাহস দেখায়।

চিঠিটি পর্যালোচনা করতে স্থানীয় ইতিহাসবিদ স্টিফেন অক্সফোর্ডের কাছে দিয়েছেন গ্লেন। স্থানীয় একটি ম্যাগাজিনের সম্পাদক স্টিফেন বলেন, স্থানীয় একজন ইতিহাসবিদ হিসেবে চিঠিটি পেয়ে আমি নিজেকে ধন্য মনে করছি।

সিএনএন বলছে, চিঠিটি লেখেছেন ক্রিস্টাবেল ম্যানেল নামের এক ব্যক্তি। তিনি তার মেয়ে চা ব্যবসায়ী হেনরি টুক ম্যানেলের উদ্দেশ্যে এটি লেখেছেন। সেই সময়ে ক্রিস্টাবেলের পরিবার অবকাশ যাপন করতে ইংল্যান্ডের পশ্চিমাঞ্চলে গিয়েছিল। চিঠিতে ক্রিস্টোবল লেখেন, প্রচণ্ড ঠান্ডায় আমি এখানে সবচেয়ে দুঃখী ব্যক্তি হয়ে আছি।

স্টিফেন অক্সফোর্ড বলেন, ১৮০০ দশকে লন্ডনের দক্ষিণাঞ্চল ব্যবসায়িক কেন্দ্র ছিল। অনেক ধনাট্য পরিবার তখন ঐ এলাকায় বসতি স্থাপন করে।

news24bd.tv/আলী