বসুন্ধরার জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার খুলনার অডিশন শুরু

বসুন্ধরার জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার খুলনার অডিশন শুরু

নিজস্ব প্রতিবেদক, খুলনা:

দেশের শীর্ষস্থানীয় শিল্পগোষ্ঠী বসুন্ধরা গ্রুপের পৃষ্ঠপোষকতায় ও বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির আয়োজনে হাফেজদের সর্ববৃহৎ মিলন মেলা জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতা ২০২৩ ‘কুরআনের নূর’ এর খুলনা বিভাগের অডিশন শুরু হয়েছে।  

শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকে প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে খুলনা সোনাডাঙ্গা তালিমুল মিল্লাত রহমাতিয়া ফাযিল মাদ্রাসা প্রাঙ্গণে ছুটে আসেন ক্ষুদে হাফেজ প্রতিযোগীরা। সকাল ৯টা থেকে শুরু হয় রেজিস্ট্রেশন পর্ব। পাঁচটি বুথে রেজিস্ট্রেশন করা হয় কুরআনের পাখিদের।

নাম, পিতার নাম, মাদ্রাসার নাম ও মোবাইল নম্বর দিয়ে রেজিস্ট্রেশন করেন হাফেজরা।

এরপর দশটা পাঁচ মিনিটে মাদ্রাসা কক্ষে শুরু হয় অডিশন পর্ব। একসঙ্গে পাঁচজন প্রতিযোগী এ পর্বে বিচারকদের সুললিত কণ্ঠে কুরআন শোনান। এর আগে সিলেট, ময়মনসিংহ, কুমিল্লা ও চট্টগ্রামে অডিশন হয়েছে।

 

খুলনা ভেন্যুর অডিশনের সমন্বয়ক হাফেজ মাওলানা শহিদুল ইসলাম জানান, খুলনা থেকে অডিশন পর্বে প্রথমে ৩০ জন হাফেজ নির্বাচিত করা হয়। সেখান থেকে সেরা ১০ জনকে নির্বাচিত করা হবে। যাদের মধ্যে সাতজনকে বিভাগীয় পর্যায়ে পুরস্কৃত করা হবে। আর চূড়ান্তভাবে তিনজন পাবে ঢাকার টিকিট।  

হাফেজদের সর্ববৃহৎ মিলন মেলা জাতীয় হিফজুল কুরআন প্রতিযোগিতার খুলনা পর্বে যশোর, খুলনা, মেহেরপুর, চুয়াডাঙ্গা, কুষ্টিয়া, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, ঝিনাইদহ, নড়াইল জেলার বিভিন্ন মাদ্রাসার প্রায় তিন শতাধিক কুরআনের পাখি অংশগ্রহণ করছে।  

অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদ মুসল্লি কমিটির সভাপতি হাজী মো. ইয়াকুব আলী, সাধারণ সম্পাদক আলহাজ্ব মিজানুর রহমান মানিক, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক মিয়া ফয়সাল আহমেদ। অডিশনের চূড়ান্ত পর্বে বিচারক হিসেবে রয়েছেন বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের সিনিয়র পেশ ইমাম শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিব্বুল্লাহিল বাকি নদভী, বায়তুল মোকাররম জাতীয় মসজিদের পেশ ইমাম শায়খুল হাদিস মুফতি মুহিউদ্দিন কাসেম ও মেয়র হানিফ মসজিদের পেশ ইমাম হাফেজ মাওলানা ইমরান নুরুদ্দীন। উপস্থাপনা করেন মাওলানা ইলিয়াস হাসান।  

এদিকে বসুন্ধরা গ্রুপ আয়োজিত প্রতিযোগিতা মাঠ পর্যায়ে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। হাফেজদের জন্য দেশে এত বেশি পুরস্কার আর কখনো ছিল না। প্রথম পুরস্কার বিজয়ীর পরিবার, শিক্ষকসহ চারজন উমরার সুযোগ পাবেন। তাই প্রকৃত পুরস্কার ২০ লাখ টাকার বেশি। সম্প্রতি বসুন্ধরা গ্রুপ ১০৪ জন হাজিকে হজের সুযোগ করে দিয়েছে।  

বসুন্ধরা গ্রুপের প্রতিযোগিতার কারণে কুরআনের পাখিদের সহিহভাবে শেখার প্রতি আগ্রহ জন্মাবে। প্রতিযোগিতায় পাঁচ জন ছাত্র নিয়ে আসা খুলনার পল্লীমঙ্গল খাদেমুল উলুম হাফেজি মাদ্রাসার হাফেজ মো. তামজিদ শেখ বলেন, বসুন্ধরা গ্রুপের এ আয়োজন সত্যিই প্রশংসনীয়। এতে অনেকে উদ্বুদ্ধ হবেন ভালো হাফেজ হওয়ার।