দেশব্যাপী আজ সোমবার (২০) সকাল থেকে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন শুরু হয়েছে। সকাল ৮টা থেকে শুরু হওয়া এ কর্মসূচি চলবে সারাদিন।
রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সচিবালয়ে ভিটামিন ‘এ’ প্লাস ক্যাম্পেইন উপলক্ষে এক সংবাদ সম্মেলনে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেন, সরকার দেশের ২ কোটি ২০ লাখ শিশুকে ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে। এর মধ্যে ৬-১১ মাস বয়সী ২৫ লাখ এবং ১২-৫৯ মাস বয়সী ১ কোটি ৯৫ লাখ।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, বর্তমান সরকার ২০১০ সাল থেকে নিয়মিতভাবে বছরে ২ বার ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানো অব্যাহত রাখছে। ফলে বর্তমানে ভিটামিন এ এর অভাবজনিত রাতকানা রোগে আক্রান্ত শিশুর সংখ্যা ৪ শতাংশ প্রায় নেই বললেই চলে।
তিনি বলেন, কেন্দ্রীয় ঔষধাগার থেকে জেলা, সিটি করপোরেশন ও মাঠ পর্যায়ে ভিটামিন এ ক্যাপসুল পাঠানো হয়েছে।
ইসলামিক ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে সব ইমামকে মসজিদে এবং হিন্দু খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদের মাধ্যমে সব হিন্দু পুরোহিতদের মন্দিরে ৬-৫৯ মাস বয়সী সব শিশুকে ভিটামিন এ খাওয়ানোর জন্য ঘোষণা করার নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।
স্বাস্থ্যমন্ত্রী বলেন, এক লাখ ২০ হাজার কেন্দ্রে ২ লাখ ৪০ হাজার স্বেচ্ছাসেবী কাজ করবেন। এতে ৪০ হাজার স্বাস্থ্যকর্মী অংশ নেবেন। ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়ানোর মাধ্যমে শিশুর অন্ধত্ব প্রতিরোধ করা হয়, দেহের স্বাভাবিক বৃদ্ধি নিশ্চিত করা হয়।
এছাড়াও সব ধরনের মৃত্যুর হার ২৪ শতাংশ কমায় এ ক্যাপসুল। এছাড়াও হাম, ডায়রিয়া এবং নিউমোনিয়ার কারণে মৃত্যু উল্লেখযোগ্য হারে কমেছে।
বিটিআরসির সাহায্যে দেশব্যাপী সব মোবাইল অপারেটরের মধ্যমে জাতীয় ভিটামিন এ প্লাস ক্যাম্পেইনের তথ্য সম্মলিত খুদে বার্তা দেয়া হয়েছে।
দেশের সব শিশু বিশেষজ্ঞদেরকে (সরকারি-বেসরকারি) তাদের সক্রিয় অংশগ্রহণের জন্য এসএমএসের মাধ্যমে অবহিত করা হয়েছে।
news24bd.tv/ইস্রাফিল