বছর দুয়েক আগে ঢাকা নিউ মার্কেটে কেনাকাটা করতে যান গৃহবধূ সাদিয়া ইসলাম মায়া। সেখানে দুই নারীর সাথে পরিচয় হয় তার। ফোন নম্বরও আদান-প্রদান হয়। কিন্তু এই পরিচয় যে সাদিয়ার জীবনকে অন্ধকারে ঠেলে দিবে তখন তা ঘুনাক্ষরেও বুঝতে পারেননি সাদিয়া।
গৃহবধূ সাদিয়া এখন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে আটক। তিনি এখন ঢাকা শহরের শীর্ষ মাদক সম্রাজ্ঞী।কীভাবে সাদিয়া এই অন্ধকার জগতে পা বাড়ালেন? সেই ঘটনা অনেকটা সিনেমার মতো। অর্থ-বিত্তের আকাঙ্ক্ষা সবারই থাকে।
এক সময় পুলিশের খাতায় নাম ওঠে সাদিয়ার। মাদক ব্যবসা করতে গিয়ে মাঝে মধ্যে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর হাতে ধরাও পড়তে হয়েছে তাকে। জেলও খাটতে হয়েছে। তবে অধিকাংশ সময়ই আইনের ফাঁক গলে বেরিয়ে আসে সে। ফের একই কাজে নেমে পড়ে। দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর বাড্ডা এলাকায় থেকে ইয়াবাসহ বিভিন্ন মাদকের অন্যতম নেটওয়ার্ক হিসেবে কাজ করছিলেন সাদিয়া। সর্বশেষ আজ (১২ সেপ্টেম্বর, বুধবার) দুপুরে সহযোগীসহ ফের ধরা পড়েছে বাড্ডা এলাকার শীর্ষ এই মাদক সম্রাজ্ঞী।
র্যাব-৩ এর কোম্পানি কমান্ডার লেফটেন্যান্ট আশিকুর রহমান বলেন, ‘বুধবার বাড্ডা এলাকার ১৩ নম্বর রোডের ‘সি’ ব্লকের একটি বাসা থেকে সাদিয়া ও তার সহযোগী মুহাম্মদ কাইয়ুম খানকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাদের কাছ থেকে ১০ হাজার পিস ইয়াবা উদ্ধার করা হয়েছে। ’
‘গোপন সূত্রে র্যাব জানতে পারে, সাদিয়ার বাড্ডার বাসায় ইয়াবার বড় একটি চালান এসেছে। সেই সংবাদের ভিত্তিতে অভিযান চালানো হয়। সাদিয়া দীর্ঘ দিন ধরে চট্টগ্রাম থেকে ইয়াবা এনে ব্যবসা করতো। বাড্ডা ও ভাটারা থানায় তার নামে মামলা রয়েছে। এর আগে জেলও খেটেছে সে। জেল থেকে বের হয়ে ফের একই পেশায় যুক্ত হয়েছে সে’- জানান র্যাব কর্মকর্তা আশিকুর রহমান।
র্যাব জানায়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে জানা গেছে, বেশ কয়েক বছর আগে কাইয়ুম ও সাদিয়ার পরিবার একই ভবনে ভাড়া থাকতো। সেই সুবাদে তাদের পরিচয়। তবে মাঝে কাইয়ুম লন্ডনে চলে যায়। বছর দুয়েক আগে সে দেশে ফেরে। দেশে আসার পর সাদিয়া কাইয়ুমকে মাদক ব্যবসায় যুক্ত করে। তাদের বিরুদ্ধে সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা করে পুলিশে হস্তান্তর করা হবে।
অরিন▐ NEWS24