পাটুরিয়া-দৌলতদিয়ায় ‘এমভি মোস্তফা’ লঞ্চডুবির ৮ বছর পূর্ণ হলো আজ। এ ঘটনায় ৭০ জন প্রাণ হারান। স্বজনদের স্মৃতিতে দিনটি যেন এখনো দুঃস্বপ্ন। প্রিয়জন হারানোর বেদনায় আজও থামেনি তাদের আহাজারি।
ক্ষতিগ্রস্ত অনেকেই পাননি আর্থিক সহায়তা। এদিকে, লঞ্চ মালিকরা বলছেন, দুর্ঘটনা কমাতে চালকদের নিয়মিত প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে। নানা উদ্যোগ নেওয়ার কথা জানিয়েছে বিআইডব্লিউটিসিএ।রাজবাড়ীর বালিয়াকান্দি উপজেলার মো. ইয়ার আলীর স্ত্রী বেদেনা বেগম।
২০১৫ সালের এই দিন দুপুরে দৌলতদিয়ার উদ্দেশে দুইশতাধিক যাত্রী নিয়ে এমভি মোস্তফা লঞ্চ পাটুরিয়া থেকে ছেড়ে যায়। পথে একটি কার্গোর সঙ্গে ধাক্কা লেগে ডুবে যায় লঞ্চটি। এ সময় অনেকে সাঁতরে তীর উঠলেও নিখোঁজ থাকেন ৮০ জন যাত্রী। পদ্মার অতল জলরাশির নিচে হিমশীতল মৃত্যুকে বরণ করতে হয়েছে তাদের।
সেই দিনের কথা মনে হলে, এখনো আঁতকে ওঠেন অনেকে। ওই দুর্ঘটনার পর, লঞ্চযাত্রা নিরাপদ করতে নানা উদ্যোগ নেওয়ার দাবি উঠে। মালিকপক্ষ ও বিআইডব্লিউটিসি বলছে, এখন নিয়মিত চালকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে।
লঞ্চ দুর্ঘটনায় গঠিত তদন্ত কমিটির সুপারিশ বাস্তবায়নের কারণেই এখন নৌ-পথে প্রাণহানি অনেক কমে গেছে বলে দাবি করেন দৌলতদিয়া-পাটুরিয়া নৌরুটের পরিচালক (শিপিং লাইন) আলামিন।
news24bd.tv/ইস্রাফিল