কয়লার দাম নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে আদানি গ্রুপ

সংগৃহীত ছবি

কয়লার দাম নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে আদানি গ্রুপ

অনলাইন ডেস্ক

কয়লার দাম নির্ধারণের সমস্যা নিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে আলোচনা শুরু করেছে আদানি গ্রুপ। বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের (বিপিডিবি) উচ্চপদস্থ একটি সূত্র গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে।  

তিনি জানান, বৃহস্পতিবার (২৪ ফেব্রুয়ারি) আদানি গ্রুপের ৫ সদস্যের একটি প্রতিনিধি দল ঢাকায় এসেছে এবং বিপিডিবির শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছে।

প্রতিনিধি দলে ছিলেন আদানির প্রধান নির্বাহী এবং একজন প্রধান ক্রয় কর্মকর্তাসহ ৫ জন।

আদানির ঢাকা অফিসের একজন কর্মকর্তাও বৈঠকে যোগ দেন। তবে সূত্রটি তাদের নাম উল্লেখ করেননি।  

সভায় বিপিডিবির কোম্পানি বিষয়ক সদস্য ও অর্থ বিষয়ক সদস্যসহ বেশ কয়েকজন কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।  

বিপিডিবির একজন শীর্ষ কর্মকর্তা গণমাধ্যমকে বলেন, বিকালে বিদ্যুৎ ভবনে বৈঠকটি অনুষ্ঠিত হয়।

এক ঘণ্টার বেশি সময় ধরে বৈঠকটি চলে। বৈঠকের আলোচনা  উভয় পক্ষের জন্য স্পর্শকাতর হওয়ায় বিষয়টি গোপন রাখা হয়।

সূত্র জানায়, উভয় পক্ষ একে অপরের কথা শুনেছে এবং তারা কয়লা ইস্যুতে নিজ নিজ পক্ষের মতামত তুলে ধরেছে।  

উভয় পক্ষই আলোচনা চালিয়ে যেতে আগ্রহ প্রকাশ করেছে বলে সূত্র জানিয়েছে। সূত্রটি আরও জানায়, আদানির প্রতিনিধিরা তাদের জানিয়েছিলেন যে, তারা বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির (পিপিএ) কয়লা মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতিতে বিপিডিবি'র অবস্থান তাদের শীর্ষ ব্যবস্থাপনাকে জানাবে এবং তারা পরে আরও ফলোআপ বৈঠকে করবে।  

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এই কর্মকর্তা আরও জানান, আদানির প্রতিনিধি দলের সদস্যরাও এ বিষয়ে বিপিডিবি'র পয়েন্টগুলোর প্রতি তাদের সমর্থন ব্যক্ত করেন।  

তিনি বলেন, আমরা আশাবাদী যে, আদানি অবশেষে কয়লার একটি নতুন মূল্য নির্ধারণের পদ্ধতি নির্ধারণের জন্য পিপিএ সংশোধন করার জন্য বাংলাদেশের অনুরোধ গ্রহণ করবে।

বৈঠকের পর আদানির দল বিপিডিবি চেয়ারম্যানের সঙ্গে দেখা করে।

সূত্র জানায়, আদানির প্রতিনিধিদলের বিদ্যুৎ ও জ্বালানি প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ এবং প্রধানমন্ত্রীর জ্বালানি উপদেষ্টা ড. তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরীর সঙ্গে দেখা করার পরিকল্পনা রয়েছে।

এর আগে, বাংলাদেশ সরকার ভারতের ঝাড়খণ্ডে তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ আমদানির জন্য আদানি পাওয়ার লিমিটেডের সঙ্গে স্বাক্ষরিত বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তি (পিপিএ) সংশোধন চেয়েছিল।

চুক্তির সঙ্গে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, দেশের বিদ্যুৎ খাতের উন্নয়ন তদারকির দায়িত্বপ্রাপ্ত সরকারি সংস্থা- বিপিডিবি ইতোমধ্যেই এ বিষয়ে ভারতীয় কোম্পানিকে একটি চিঠি পাঠিয়েছে। মনে হচ্ছে প্রকল্পের জ্বালানি হিসেবে কেনা কয়লার দাম বিতর্কের প্রধান বিষয়বস্তু হিসেবে আবির্ভূত হয়েছে।

বিপিডিবি’র একজন উচ্চ পদস্থ কর্মকর্তা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, বিপিডিবি ঝাড়খণ্ডের ১৬০০ মেগাওয়াট প্ল্যান্টে জ্বালানি হিসাবে ব্যবহৃত কয়লা আমদানির জন্য এলসি (ভারতে) খোলার বিষয়ে পাওয়া একটি অনুরোধের পর আদানি গ্রুপকে একটি চিঠি পাঠিয়েছিল।  

যেহেতু কার্যত ঝাড়খণ্ড রাজ্যের গোড্ডা জেলায় অবস্থিত প্ল্যান্টের দ্বারা উত্পাদিত সমস্ত বিদ্যুৎ বাংলাদেশে রপ্তানি করা হবে, আদানি পাওয়ারের জন্য বিপিডিবি থেকে একটি ডিমান্ড নোট প্রয়োজন যা কয়লা আমদানির বিরুদ্ধে এলসি খোলার আগে ভারতীয় কর্তৃপক্ষের কাছে উপস্থাপন করতে পারে।

news24bd.tv/ইস্রাফিল