কোচ ভরসা করছেন না বলে অবসরে রামোস

সংগৃহীত ছবি

কোচ ভরসা করছেন না বলে অবসরে রামোস

অনলাইন ডেস্ক

অনেক দিন ধরেই জাতীয় দলের বাইরে সের্হিও রামোস। ২০২১ সালের মার্চে কসোভোর বিপক্ষে শেষবার জাতীয় দলের জার্সি গায়ে মাঠে নেমেছিলেন এই ডিফেন্ডার। এরপর চোটের কারণে বাদ পড়েন ২০২০ ইউরোর দল থেকে। সেই যে বাদ পড়লেন, এরপর চোট কাটিয়ে মাঠে ফিরলেও জাতীয় দলে তার আর ফেরা হয়নি।

স্পেনের সাবেক কোচ লুইস এনরিকে কাতার বিশ্বকাপের দলে রামোসকে রাখেননি। বিশ্বকাপ ব্যর্থতায় এনরিকে বিদায় নিয়েছেন বটে, তবে দলের নতুন কোচ লুইস ডি লা ফুয়েন্তেও তার পরিকল্পনায় রাখছেন না রামোসকে। ফলে বাধ্য হয়েই জাতীয় দল থেকে অবসরের ঘোষণা দিলেন তিনি। আজ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নিজের অবসরের ঘোষণা দিয়েছেন পিএসজির ডিফেন্ডার।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দেওয়া এক বার্তায় রামোস জানিয়েছেন, কোচের সঙ্গে কথা বলেই এমন সিদ্ধান্ত নিতে বাধ্য হয়েছেন তিনি। রামোস লিখেছেন, ‘সময়টা এসে গেছে জাতীয় দলকে বিদায় বলার, আমাদের প্রিয় ও রোমাঞ্চকর রোহা (স্পেন জাতীয় দলের ডাকনাম) ছাড়ার সময় এসে গেছে। এখনকার কোচের কাছ থেকে আজ সকালে আমি একটা কল পেয়েছি। তিনি বলেছেন, আমি নিজের যে সামর্থ্যই দেখাই বা যেভাবেই ক্যারিয়ার চালিয়ে নিই না কেন, তিনি আমার ওপর আর ভরসা রাখছেন না। সামনেও রাখবেন না। অনেক দুঃখের সঙ্গে এ ভ্রমণটা শেষ হচ্ছে। যেটি আরও দীর্ঘ ও বিদায়টা আরেকটু মধুর, আমাদের রোহার সাফল্যের শিখরে হবে বলে আশা করেছিলাম। ’

স্পেনের হয়ে রেকর্ড ১৮০ ম্যাচ খেলেছেন রামোস। ইউরোপিয়ান ফুটবলার হিসেবে আন্তর্জাতিক ফুটবলে সর্বোচ্চ ম্যাচ খেলার মালিকের আক্ষেপ বিদায়টা মন মতো না হওয়ায়। তিনি বলেছেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমার এ ক্যারিয়ারের শেষটা হওয়া উচিত ছিল ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তে। অথবা আমার পারফরম্যান্স জাতীয় দলের মানের নয়, এমন কারণে। কিন্তু এটি আমার বয়স বা এমন কারণে শেষ হবে, সেটা ভাবিনি। তাদের কাছ থেকে এ ব্যাপারে কিছু শুনিনি, তবে আমার মনে হয়েছে এমনই। ’

‘তরুণ বা কম তরুণ হওয়া কোনোভাবেই গুণ বা ত্রুটি নয়। এটা শুধু ক্ষণস্থায়ী একটি বৈশিষ্ট্য, যেটির সঙ্গে পারফরম্যান্স বা সামর্থ্যের সম্পর্ক থাকতেই হবে, এমন কোনো ব্যাপার নেই। আমি মদরিচ, মেসি, পেপে—তাদের প্রশংসা করি, ঈর্ষা করি। ফুটবলের এই ঐতিহ্য, মূল্যবোধ, যোগ্যতা ও সুবিচার দুর্ভাগ্যজনকভাবে আমার ক্ষেত্রে এমন হবে না। কারণ, ফুটবল সব সময় ন্যায্য নয়, ফুটবল কখনোই শুধু ফুটবল নয়। ’

স্পেনের হয়ে রামোসের অর্জনের পাল্লা ভারীই বটে। লা রোহাদের হয়ে ২০১০ বিশ্বকাপ এবং ২০০৮ ও ২০১২ সালে ইউরো জেতেন এই ফুটবলার।