গাজীপুরের শ্রীপুরে খালি বাসায় এক কিশোরীকে জোরপূর্বক ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে। তাতে ঐ কিশোরী এখন তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা বলে অভিযোগ করেছেন ঐ কিশোরীর স্বজনরা। ঘটনা জানাজানি হলে অভিযুক্ত ধর্ষণকারী এলাকা থেকে পালিয়ে গেছে। শ্রীপুর পৌরসভার ৬ নম্বর ওয়ার্ডের কেওয়া গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী কিশোরীর (১২) বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলায় বলে জানা গেছে। তার বাবা একজন দিনমজুর। সে বাবার সঙ্গে শ্রীপুরে থাকতো। তার মা একটি পোশাক কারখানায় কর্মরত ছিল।
অভিযুক্ত ধর্ষক মঞ্জরুল হক (৪০) এর বাড়ি নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার পারুয়া গ্রামে। তবে তার বাবার নাম জানা যায়নি। সে শ্রীপুর উপজেলার কেওয়া গ্রামে জনৈক জাহাঙ্গীরের বাড়িতে ভাড়া থেকে রাজমিস্ত্রীর কাজ করেন।
ভুক্তভোগী কিশোরীর মা জানান, এতদিন কোন কিছু জানতাম না। সম্প্রতি আমার মেয়ের শারীরিক পরির্বতন দেখে প্রতিবেশিরা কানাঘুষা শুরু করে। এরপর গতকাল বৃহস্পতিবার দুপুরে মেয়েকে অনেক চাপাচাপি করার পর বিস্তারিত ঘটনা খুলে বলে।
এরপর মেয়েকে নিয়ে শ্রীপুর ডায়াগনস্টিক সেন্টারে নিয়ে মেয়ের স্বাস্থ্য পরিক্ষা করায়। ডায়াগনস্টিক সেন্টারের কর্তব্যরত চিকিৎসক জানান, আমার মেয়ে তিনমাসের অন্তঃসত্ত্বা। পরবর্তী মেয়েকে নিয়ে বাসায় এসে স্থানীয়দের বিষয়টি জানিয়ে থানায় যাচ্ছি।
গাজীপুরের কালিয়াকৈর সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার আজমির হোসেন জানান, গত রাতে একটি অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত চলছে, সত্যতা পেলে মামলা নেওয়া হবে।
news24bd.tv/কামরুল