১৭ মার্চ পাইপ লাইনে আসছে ভারতীয় ডিজেল

সংগৃহীত ছবি

১৭ মার্চ পাইপ লাইনে আসছে ভারতীয় ডিজেল

অনলাইন ডেস্ক

আগামী ১৭ মার্চ জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মবার্ষিকীতে উদ্ধোধন হতে যাচ্ছে ভারত-বাংলাদেশ ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন  (আইবিএফপি)। এদিনই পাইপ লাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ডিজেল বাংলাদেশে আসবে। আইবিএফপি চালুর মধ্য দিয়ে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্কের আরেকটি সোনালী অধ্যায় রচনা করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ও ভারত। ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে যৌথভাবে আইবিএফপি'র কার্যক্রম উদ্বোধন করবেন।

ডিজেল সরবরাহের জন্য ফ্রেন্ডশিপ পাইপলাইন উদ্বোধনের আগে বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন জি-২০ পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের বৈঠকে যোগ দিতে আগামী ১-৩ মার্চ তিন দিনের ভারত সফর করবেন। সফরকালে তিনি পাইপলাইন উদ্বোধনের বিশাল কর্মসূচি চূড়ান্ত করতে জি-২০ বৈঠকের ফাঁকে ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এস জয়শঙ্করের সঙ্গে বৈঠক করতে পারেন।

সূত্র জানায়, বাংলাদেশ প্রাথমিকভাবে দুই দেশের মধ্যে সংযোগকারী প্রথম তেল পাইপলাইনের মাধ্যমে ভারত থেকে ০.০০৫ শতাংশ সালফার গ্যাসঅয়েল (ডিজেলের মৌলিক উপাদান) পাবে। ২০২০ সালের গোড়ার দিকে শুরু হওয়া পাইপলাইনের নির্মাণ কাজ ইতিমধ্যে শেষ হয়েছে এবং  ভারত থেকে গ্যাসঅয়েল বহনের জন্য চালু হওয়ার অপেক্ষায় রয়েছে।

পাইপলাইনটি বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ১২৫ কিলোমিটার এবং ভারতের মধ্য দিয়ে পঞ্চগড়, নিফামারী ও দিনাজপুর হয়ে বাংলাদেশের পার্বতীপুর তেল মজুদ সুবিধা পর্যন্ত ৫ কিলোমিটার বিস্তৃত। পাইপলাইন নির্মাণে ব্যয় হয়েছে প্রায় ৩৫০ কোটি ভারতীয় রুপি।

বর্তমানে বাংলাদেশ রেলপথে ভারতের নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে প্রতি মাসে প্রায় ২ হাজার টন ০.০০৫ শতাংশ গ্যাসঅয়েল আমদানি করে এবং তেল রেলপথে পার্বতীপুর তেল ডিপোতে পৌঁছায়।

আন্তঃসীমান্ত পাইপলাইন চালু হলে বাংলাদেশ রেলপথে গ্যাসঅয়েল আমদানি বন্ধ করবে, যার ফলে আমদানি ব্যয় কমবে। ভারতীয় গ্যাসঅয়েল কৃষি অঞ্চলে ব্যবহৃত হবে যেখানে ডিজেলের চাহিদা প্রতি বছর প্রায় ১.১ মিলিয়ন টন। এটি বাংলাদেশের মোট গ্যাসঅয়েল চাহিদার প্রায় এক-পঞ্চমাংশ।

গ্যাসঅয়েল ক্রয় চুক্তি অনুযায়ী, বাংলাদেশ পেট্রোলিয়াম কর্পোরেশন (বিপিসি) পাইপলাইনের মাধ্যমে নুমালিগড় রিফাইনারি থেকে ৩.৫০ ডলার প্রিমিয়ামে ভারতীয় গ্যাসঅয়েল কিনবে।

দুই দেশের মধ্যে চুক্তি অনুযায়ী পাইপলাইনটি বছরে প্রায় আড়াই লাখ টন গ্যাসঅয়েল বহন করতে পারে। ভারতের পেট্রোলিয়াম মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, ধীরে ধীরে এর পরিমাণ প্রতি বছর ৪,০০,০০০ টন এবং পরবর্তীতে বছরে প্রায় ১০ লাখ টনে উন্নীত করা হবে। চুক্তিটি চাহিদার উপর ভিত্তি করে পর্যায়ক্রমে ভলিউম সমন্বয় করে এবং পারস্পরিক আলোচনা সাপেক্ষে আমদানি সম্মত ১৫ বছরের পরেও বাড়ানো যেতে পারে।
news24bd.tv/আলী