রুপি চুরি করায় ছেলেকে ছাদে পা ধরে ঝুলিয়ে রাখলেন বাবা

রুপি চুরি করায় ছেলেকে ছাদে পা ধরে ঝুলিয়ে রাখলেন বাবা

অনলাইন ডেস্ক

কতই বা বয়স। ১১ বছর। এখনো ভালো-মন্দ বোঝার বয়স হয়নি। এই এক রত্তি কিশোরকে শাসন করার নামে মধ্যযুগীয় বর্বরতা বাবার।

ছাদ থেকে ছেলের পা ধরে নিচে ঝুলিয়ে রাখলো বাবা। প্রাণ বাঁচাতে ছেলে কাকুতি-মিনতি শুরু করলেও বাবার তাতে কোনো হুশ নেই। উল্টে ছেলের ওপর হিটলারি শাসন ফলাতে উদগ্রীব। শুধু তাই নয়, উন্মত্ত স্বামীর হাত থেকে নিজের ছেলেকে বাঁচানোর বদলে উল্টে তাকেই উৎসাহিত করলেন সৎ মা, যা দেখে ছেলেকে আরও বেশি করে শাসন করতে উদগ্রীব হলেন বাবা।
 

ঘটনাটি পশ্চিমবঙ্গের উত্তর ২৪ পরগনা গোপালনগর থানা এলাকার দিঘারী গ্রামের। এই গ্রামের বাসিন্দা পেশায় চাষী বিশ্বজিৎ সরকারের ছেলে বিশাল সরকার। ১১ বছর বয়সী ছেলের বিরুদ্ধে অভিযোগ সে ঘর থেকে ৫০০ রুপি চুরি করেছে। এদিক-ওদিক খোঁজাখুঁজির পর তার সন্দেহ ছেলেই ওই রুপি নিয়েছে। ছেলে যখন রুপি নেওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করে তখনই চন্ডাল মূর্তি ধারণ করেন বিশ্বজিৎ সরকার।

আর শাসন করার নামে শুক্রবার দুপুরে একতলার ছাদ থেকে পা ধরে নিচের দিকে ঝুলিয়ে রাখলেন বাবা।  

ছাদের এক কোণ থেকে কোনো একজন সেই ভিডিও তার মোবাইলে ধারণ করেন। ইতোমধ্যেই সেই ভিডিও ভাইরাল হয়েছে। বাবার নির্মম অত্যাচারের ওই ভিডিও দেখলে গা শিউরে উঠছে। এই ঘটনার নিন্দায় সরব হয়েছেন স্থানীয়রা।

এদিকে স্থানীয়দের কাছ থেকে খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে পৌঁছায় গোলাপনগর থানার পুলিশ। বাচ্চাটিকে উদ্ধার করে থানায় নিয়ে আসা হয়।

পুলিশ সূত্রে খবর, অভিযুক্ত বাবাকে আটক করা হয়েছে।  

ওই কিশোরের সৎ মা সুনীতা সরকার জানান, ‘বাবার পকেট থেকে ৫০০ রুপি চুরি করেছে। এরপর ও বাবা খুঁজে না পেয়ে ছেলেকে জিজ্ঞাসা করে। কিন্তু ছেলে স্বীকার না করায় বাবা ওই জঘন্যতম কাজটি করেন। ’ 

কিন্তু সবকিছু দেখেও কেন সন্তানকে উদ্ধার করেননি, এই প্রশ্নের উত্তরে মা জানান, ‘আমি দেখে তাকে বাঁচানোর চেষ্টা করি। সেটা গ্রামের লোক দেখেছে। তাছাড়া সৎ মা হলেও আমি তাকে কতটা ভালোবাসি সেটা গ্রামের লোক ভালোই জানে। ’ 

যদিও সুনিতা দেবী বলেন, ‘তার স্বামী যেটা করেছে সেটা অন্যায়, তাকে বোঝানো হয়েছে। কিন্তু রাগের মাথায় তিনি এটা করেছেন। ’