পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৬৪ শতাংশ

গেল সপ্তাহের হতাশা কাটল

পুঁজিবাজারে লেনদেন বেড়েছে ৬৪ শতাংশ

সুলতান আহমেদ

খরা কাটিয়ে উঠতে শুরু করেছে দেশের দুই পুঁজিবাজার। গেলো সপ্তাহের হতাশা কিছুটা হলেও কমেছে এই সপ্তাহ শেষে। বৃহস্পতিবার দিন শেষে প্রধান পুঁজিবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জ-ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে ৪২৭ কোটি টাকা। যদিও প্রধান সূচক খানিকটা কমেছে এদিন।

তবে লেনদেন বাড়াতেই সন্তুষ্টি জানিয়েছেন পুঁজিবাজার সংশ্লিষ্টরা।

এ নিয়ে চলতি সপ্তাহের পাঁচ কর্মদিবসে মোট লেনদেন হয়েছে প্রায় ১ হাজার ৭৯৪ কোটি টাকা। প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয়েছে ৩৫৮ কোটি টাকা। লেনদেন খুব বেশি সন্তোষজনক না হলেও তার আগের সপ্তাহের চেয়ে বেশ খানিকটা ইতিবাচক।

এর আগের সপ্তাহে মোট লেনদেন হয়েছিল ১ হাজার ৯২ কোটি টাকা। সেই হিসেবে এই সপ্তাহে লেনদেন বেড়েছে ৬৪ দশমিক ২ শতাংশ। অবশ্য সেই সপ্তাহে কর্মদিবস ছিল একটি কম। ২১ ফেব্রুয়ারি মহান ভাষা দিবসে লেনদেন বন্ধ ছিল ডিএসইতে। তখন গড় লেনদেন ছিল ২৭৩ কোটি টাকা। সেই হিসেবেও লেনদেন বেশ খানিকটা বেড়েছে সদ্য শেষ হওয়া সপ্তাহে।

পুঁজিবাজারের এই লেনদেন কে ইতিবাচক হিসেবে দেখছেন ডিএসইর সাবেক সহসভাপতি আহমেদ রশিদ লালী। তার আশা খুব শীঘ্রই ঘুরে দাঁড়াবে পুঁজিবাজার।

যুক্তি তুলে ধরেন এই বাজার বিশ্লেষক বলেন, যেসব বিনিয়োগকারী সাইড লাইনে বসে ছিল তারা সজাগ হতে শুরু করেছে। পুঁজিবাজার বর্তমান জায়গায় বেশি দিন থাকবে না বলে উল্লেখ করে লালী বলেন, প্রতিদিন বিকেলে বাজারে গুজব ছড়িয়ে দেওয়া হচ্ছে। বিশেষ করে নিয়ন্ত্রক সংস্থার দেওয়া ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হবে বলে একটি মহল ইচ্ছাকৃত গুজব ছড়াচ্ছে।  

লেনদেনে ইতিবাচক প্রবণতা থাকলেও পুরো সপ্তাহে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স বেড়েছে মাত্র ৮ দশমিক ৬৩ শতাংশ। ২৬ তারিখ সপ্তাহ শুরু হয়েছিলো ৬ হাজার ২শ’ পাঁচ পয়েন্ট দিয়ে যা সপ্তাহের শেষ দিনে এসে দাঁড়িয়েছে ৬ হাজার ২১৩ পয়েন্টে। এদিকে পুঁজিবাজার নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ড কমিশন বার বার জানিয়েছে কোনোভাবেই ফ্লোর প্রাইস তুলে নেওয়া হবে না। নিয়ন্ত্রক সংস্থার চেয়ারম্যান অধ্যাপক শিবলী রুবাইয়াত-উল-ইসলাম সম্প্রতি কয়েকটি অনুষ্ঠানে ঘোষণা করেন এখনই উঠছে না ফ্লোর প্রাইস। এছাড়া মার্চ মাস জুড়ে বাজার ইতিবাচক থাকবে বলেও এক অনুষ্ঠানে জানিয়েছেন বিএসইসি চেয়ারম্যান।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক