জুম্মার নামাজ আদায়ের ফজিলত

জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে জুম্মার নামাজ আদায় করছেন মুসল্লিরা [ফাইল ছবি]

জুম্মার নামাজ আদায়ের ফজিলত

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

হযরত আবু লুবাবা ইবনে আবদুল মুনযির (রাঃ) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, “জুম্মার দিন সকল দিনের সর্দার। আল্লাহর নিকট সকল ‍দিনের চেয়ে মর্যাদাবান। এমনকি কুরবানির দিন ও ঈদুল ফিতরের দিনের চেয়েও বেশি মর্যাদাপূর্ণ। ”

আবু হুরাইরা (রা:) থেকে বর্ণিত, রাসূলুল্লাহ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম বলেছেন, “আমরা শেষে এসেছি, কিন্তু কেয়ামতের দিন সকলের আগে থাকবো।

যদিও অন্য সকল জাতিগুলোকে (ইহুদি ও খৃস্টান) গ্রন্থ দেয়া হয়েছে
আমাদের পূর্বে। আমাদের গ্রন্থ দেয়া হয়েছে তাদের পরে। অতঃপর জেনে রাখো, এই (জুম্মার) দিনটি আল্লাহ আমাদের দান করেছেন। তিনি এ ব্যাপারে আমাদের সঠিক পথের দিশা দিয়েছেন।
আর অন্য লোকেরা এ ব্যাপারে আমাদের পিছনে আছে। ইহুদিরা জুম্মার পরের দিন (শনিবার) উদযাপন করে আর খৃস্টানেরা তার পরের দিন (রবিবার) উদযাপন করে। ” (সহীহ বুখারি ও মুসলিম)”

তাই মুসল্লিদের উচিত জুম্মার দিনে আগে ভাগে মসজিদে যাওয়া। কোনো ঈমানদার ব্যক্তি যদি একটু আগে ভাগে মসজিদে যান, তবে এর জন্য অনেক ফজিলত রয়েছে।

হাদিসে আছে জুম্মার দিনে আগে ভাগে মসজিদে গেলে দান-খয়রাত বা পশু কুরবানি করার সমতুল্য সওয়াব পাওয়া যায়। আবু হুরায়রা (রাঃ) বর্ণিত এক হাদিসে রাসূল (সাঃ) বলেছেন, “যে ব্যক্তি জুম্মার দিন ফরজ গোসল করে মসজিদের প্রথম দিকে সারিতে হাজির হয়, সে যেন একটি উট কুরবানি করলো। দ্বিতীয় সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন একটি গরু কুরবানি করলো। তৃতীয় সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করে, সে যেন একটি ছাগল কুরবানি করলো। ”

“অতঃপর চতুর্থ সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে গেল, সে যেন একটি মুরগি কুরবানি করল। আর পঞ্চম সময়ে যে ব্যক্তি মসজিদে প্রবেশ করলো, সে যেন একটি ডিম কুরবানি করলো। এরপর ইমাম যখন বেরিয়ে এসে মিম্বরে বসে গেলেন খুতবার জন্য, তখন ফেরেশতারা লেখা বন্ধ করে খুতবা শুনতে বসে যায়। ” (বুখারী ৮৮১, ইফা ৮৩৭)

নবী কারিম (সাঃ) আরও বলেন, “যে ব্যাক্তি আদব রক্ষা করে জুম্মার সালাত আদায় করে, তার প্রতিটি পদক্ষেপের বিনিময়ে পুরো এক বছরের রোজা পালন এবং রাত জেগে তাহাজ্জুদের নামাজ পড়ার সমান সওয়াব লেখা হয়। ”

অর্থাৎ, জুম্মার দিন হলো মুসলমানদের সাপ্তাহিক ঈদের দিন। ইসলাম সর্বক্ষেত্রে একতাকে পছন্দ করে। আর জুম্মার দিন সপ্তাহে একবার সমাজের সবাইকে একত্রিত করে। মানুষকে একতার প্রতি আহ্বান করে। বিচ্ছিন্নতা ও ইখতেলাফকে ঘৃণা করতে উৎসাহিত করে। তাই মুসলমানদের পারস্পরিক পরিচিতি, প্রেম-প্রীতি ও মেল-বন্ধন অক্ষুণ্ন রাখতে জুম্মার নামাজ আদায় করা আবশ্যক।


অরিন▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর