সর্ববৃহৎ ফ্লাইওভার নির্মাণের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম

চট্টগ্রামের একটি উড়াল সেতু

সর্ববৃহৎ ফ্লাইওভার নির্মাণের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

নগরীর সবচেয়ে বড় উড়াল সেতু নির্মাণের পথে আরেক ধাপ এগিয়ে গেল চট্টগ্রাম। লালখান বাজার থেকে শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত এই ফ্লাইওভারের নির্মাণ কাজ করতে আগ্রহী ১০টি কোম্পানির টেন্ডার চট্টগ্রাম উন্নয়ন কর্তৃপক্ষের (সিডিএ) কাছে জমা দেয়ার মাধ্যমে এ ফ্লাইওভারের কাজ আনুষ্ঠানিকভাবে শুরু হলো।  

গেল মাসের শেষে আগ্রহী ১০টি কোম্পানি সিডিএ’র কাছে তাদের টেন্ডার জমা দেয়। ১০টি মধ্যে ৬টিই চীনের কোম্পানি।

বাকি ৪টি কোম্পানি চীন-বাংলাদেশ যৌথ মালিকানার।

ফ্লাইওভারটির প্রকল্প পরিচালক সিডিএ’র নির্বাহী প্রকৌশলী মাহফুজুর রহমান জানান, নগরীর লালখান বাজার এলাকা থেকে বিমানবন্দর পর্যন্ত বিস্তৃত এ ফ্লাইওভারটির প্রকল্প ব্যয় ধরা হয়েছে ৩ হাজার ২৫০ কোটি টাকা। ফ্লাইওভার নির্মাণের প্রাথমিক পর্যায় হিসেবে বিভিন্ন কোম্পানির কাছ থেকে টেন্ডার আহ্বান করে সিডিএ। সে আহ্বানে সাড়া দিয়ে মোট ২৪টি কোম্পানি টেন্ডার জমা দেয় সিডিএ’র কাছে।

সেখান থেকে যাচাই-বাছাই করে প্রাথমিকভাবে ১০টি কোম্পানিকে বাছাই করা হয়েছে।  

কোম্পানিগুলো হলো- চায়না রেলওয়ে কনস্ট্রাকশন ব্রিজ ইঞ্জিনিয়ারিং ব্যুরো গ্রুপ কোম্পানি লিমিটেড, সিচুয়ান রোড এন্ড ব্রিজ কর্পোরেট লিমিটেড, আব্দুল মোনেম লিমিটেড, হেগো-তমা-মীর আকতার (জেভি), সিআরএফজি-এনডিই-জিকেবিপিএল (জেভি), শ্যানডং হাই-স্পিড জেভি উইথ শ্যানডং ওয়াটার কনসারভেন্সি, চায়না রেলওয়ে ২৫তম ব্যুরো গ্রুপ অব কোম্পানি লিমিটেড, চায়না হারভার ইঞ্জিনিয়ারিং কোম্পানি লিমিটেড, চায়না স্টেট কনস্ট্রাকশন ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেড ও ম্যাক্স র‌্যানকিন (জেভি)। এ ১০টি কোম্পানি থেকে যাচাই-বাছাই করে একটি কোম্পানির নাম একনেকে পাঠাবে সিডিএ। তারপর একনেকে পাশ হলে প্রকল্পের কাজ শুরু হবে।

জানতে চাইলে মাহফুজুর রহমান বলেন, ‘১০টি কোম্পানি থেকে একটির নাম বাছাই করতে দুই থেকে আড়াই মাস লাগতে পারে। তারপর ওই কোম্পানির নাম আমরা একনেকে পাঠাব। সেখানে পাশ হয়ে আসতে আসতে আরও কয়েক মাস লাগতে পারে। একনেক থেকে কোম্পানির নাম ও প্রকল্প পাশ হয়ে এলেই ফ্লাইওভারের কাজ শুরু হবে। ’

তিনি জানান, ফ্লাইওভারটি নির্মিত হলে নগরীর আগ্রাবাদ, সল্টগোলা ক্রসিং, ইপিজেড মোড় ইত্যাদি যানজটপ্রবণ স্থানগুলোতে যানজট অনেক কমে আসবে। এছাড়া যাত্রীরা তাড়াতাড়ি বিমানবন্দরে পৌঁছতে পারবে।


অরিন▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর