কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চর্বিজাতীয় খাবার, চিপ্স, ভাজাভুজি, শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলবেন তো বটেই, সেই সঙ্গে রোজের খাদ্যতালিকায় কিছু পানীয় রাখলেও এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব।
কোলেস্টেরলের সমস্যা এখন প্রায় ঘরে ঘরে। ট্রু কোলেস্টেরল, ট্রাইগ্লিসারাইড, এইচডিএল, এলডিএল— এই চারটি মিলেই মূলত তৈরি হয় কোলেস্টেরলের পরিবার। অনেকের ধারণা, চর্বি জাতীয় খাবার বেশি খেলেই কোলেস্টেরলের মাত্রা বেড়ে যায়।
কোলেস্টেরলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে চর্বিজাতীয় খাবার, চিপ্স, ভাজাভুজি, শর্করাযুক্ত পানীয় এড়িয়ে চলবেন তো বটেই, সেই সঙ্গে রোজের খাদ্যতালিকায় কিছু পানীয় রাখলেও এই রোগের হাত থেকে মুক্তি পাওয়া সম্ভব। জেনে নিন রোজের ডায়েটে কোন ৫ পানীয় রাখলে জব্দ হবে কোলেস্টেরল।
টমেটোর রস: টম্যাটোতে উপস্থিত লাইকোপিন শরীরে লিপি়ডের মাত্রা বাড়াতে এবং লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। এতে নিয়াসিন ও কোলেস্টেরল কমানোর জন্য প্রয়োজনীয় ফাইবারও থাকে। রোজ আধ কাপ করে টমেটোর রস খেতে পারলে কোলেস্টরল নিয়ন্ত্রণে রাখা সম্ভব।
গ্রিন টি: অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট সমৃদ্ধ গ্রিন টি-তে থাকা ‘ক্যাটাচিন’ শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমাতে সাহায্য করে। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গিয়েছে, ১২ সপ্তাহ ধরে নিয়মিত গ্রিন টি খেলে শরীরে লাইপোপ্রোটিনের মাত্রা প্রায় ১৬ শতাংশ কমে যায়।
ওট্সের দুধ: রোজের খাদ্যতালিকায় ওট্সের দুধ থাকলে নিয়ন্ত্রণে থাকবে কোলেস্টেরল। ওটসের দুধে রয়েছে বিটা গ্লুকোন। তা শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের পরিমাণ নিয়ন্ত্রণে রাখে।
সয়া দুধ: এই দুধে স্যাচুরেটেড ফ্যাটের পরিমাণ খুবই কম। একেবারে নেই বললেই চলে। দীর্ঘ দিন ধরে উচ্চ কোলস্টেরলের সমস্যায় ভুগে থাকলে শরীর সুস্থ রাখতে রোজের খাদ্যতালিকায় অনায়াসে রাখতে পারেন সয়া দুধ। শুধু কোলেস্টেরল নয়, হৃদ্রোগের ঝুঁকি কমাতেও সাহায্য করে এই পানীয়।
রেড ওয়াইন: কোলেস্টেরলের সমস্যা থাকলে অন্যান্য অ্যালকোহল থেকে দূরে থাকার পরামর্শ দেন চিকিৎসকরা। তবে পরিমিত পরিমাণে রেড ওয়াইন খেলে কোলেস্টেরলের মাত্রা বিপদসীমার নীচে থাকে। এতে অনেক ধরনের অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট থাকে। নিয়ম মেনে খাওয়া গেলে হৃদ্যন্ত্রের স্বাস্থ্যরক্ষাও করে এই পানীয়।
news24bd.tv/আইএএম