মুক্তিযুদ্ধের অন্যতম সংগঠক, বিশিষ্ট সমাজসেবক মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. খালেক শেখ -এর ২১তম প্রয়াণবার্ষিকী আগামীকাল (১০ মার্চ)। গোপালগঞ্জের এই কৃতি সন্তান জাতির পিতার ঘনিষ্ঠ অনুসারী ছিলেন। তিনি মুক্তিযুদ্ধের পুরো ৯ মাস পরিবারসহ প্রতি মুহূর্তে মৃত্যুঝুঁকি মাথায় নিয়ে কাটিয়েছেন।
পাকিস্তান মিলিটারি একাধিকবার তাঁদের বাড়িঘর লুটপাট করে জ্বালিয়ে দেয়।
পাকিস্তানী মিলিটারি বাহিনী তার শিরচ্ছেদের জন্য ১০ হাজার টাকা পুরস্কার ঘোষণা করে তাঁর বিরুদ্ধে মৃত্যু পরোয়ানা জারি করে। এলাকার হাটে-বাজারে ঢোল পিটিয়ে তাঁকে জীবিত অথবা মৃত অবস্থায় জনসাধারণকে ধরিয়ে দিতে বলা হয়।
তিনি দিগনগর সম্মুখযুদ্ধসহ বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ যুদ্ধে অংশগ্রহণ করেন। এই বীর মুক্তিযোদ্ধা ছিলেন ঐ অঞ্চলের একজন সৎ, বিনয়ী, পরোপকারী এবং অত্যন্ত জনপ্রিয় ব্যক্তি। স্কুল, মসজিদ, মাদ্রাসা, সঙ্ঘসহ নানা শিক্ষা, সামাজিক, সাংস্কৃতিক ও ধর্মীও প্রতিষ্ঠানের সাথে সংযুক্ত ছিলেন।
জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান স্মৃতি জাদুঘর পরিচালনা কমিটির সদস্য এবং বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সাবেক পরিচালক আশরাফুল আলম পপলু তাঁর ৩য় পুত্র। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রীসহ ৫ পুত্র এবং ১ কন্যা সন্তান, আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে যান। ২০০২ সালের ১০ মার্চ মুক্তিযুদ্ধের এই বীরসেনানী ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
বীর সেনার প্রয়াণবার্ষিকী উপলক্ষে মরহুমের এলাকা মুকসুদপুরে মুনিরকান্দি আশরাফুল উলুম মাদ্রাসা ও এতিমখানা, খানপুরা রাজ্জাকিয়া এতিমখানা ও কওমি মাদ্রাসা এবং পূর্ব নওখন্ডা আলিয়া মাদ্রাসা ও হেফজখানা ও এতিমখানায় দিনব্যাপী কোরআন খতম এবং দোয়ার আয়োজন করা হয়েছে। গ্রামের বাড়ি গোহালায় আগামীকাল বাদ আসর ও ঢাকার বাসায় বাদ মাগরিব মিলাদ, দোয়া, কোরআন খতম এর আয়োজন করা হয়েছে।
এছাড়া শুক্রবার বাদ জুম্মা এলাকার বিভিন্ন মসজিদে মিলাদ ও দোয়া অনুষ্ঠিত হবে। মুক্তিযোদ্ধা এম. এ. খালেক শেখ এর আত্মার শান্তির জন্য তাঁর পরিবার সকলের নিকট দোয়া প্রার্থনা করেছেন।