বিতর্কের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে আদানির বিদ্যুতের পরীক্ষামূলক সঞ্চালন

সংগৃহীত ছবি

বিতর্কের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে আদানির বিদ্যুতের পরীক্ষামূলক সঞ্চালন

অনলাইন ডেস্ক

বিতর্কের মধ্যে বাংলাদেশে গৌতম আদানির বিদ্যুতের পরীক্ষামূলক সঞ্চালন শুরু হয়েছে। বৃস্পতিবার (৯ মার্চ) সন্ধ্যা থেকে জাতীয় গ্রিডে আদানির বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হয়। প্রাথমিকভাবে ২৫ মেগাওয়াট সরবরাহ করছে আদানি।

দুটি ইউনিটের কেন্দ্রের ক্ষমতা ১৪৯৮ মেগাওয়াট।

এর মধ্যে ৭৫০ মেগাওয়াটের একটি কেন্দ্র উৎপাদনে এসেছে। অন্য ইউনিটটির এ বছরেই আসার কথা।

এদিকে আদানির বিদ্যুৎ নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ১৩ মার্চ বাংলাদেশের একটি প্রতিনিধি দলের ভারতে যাওয়ার কথা রয়েছে।   

এর আগে আদানির বিদ্যুৎ আসা নিয়ে শুরু হয় বিতর্ক।

এর মধ্যেই আদানির কেন্দ্র থেকে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরুর তোড়জোড় হয়। কেন্দ্রটির আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন হওয়ার কথা ছিল ২৬ মার্চ।

পিজিসিবির (পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি অব বাংলাদেশ) মুখপাত্র এবিএম বদরুদ্দোজা সুমন বলেন, সন্ধ্যা থেকে আদানির বিদ্যুৎ বাংলাদেশের গ্রিডে যুক্ত হয়েছে। প্রাথমিক পর্যায়ে ২৫ মেগাওয়াট আসছে, পর্যায়ক্রমে এটি বাড়বে।

পাওয়ার গ্রিড কোম্পানি (পিজিসিবি) সূত্র বলছে, আদানির বিদ্যুৎ সঞ্চালন করার জন্য ভারত ও বাংলাদেশ প্রান্তে যে গ্রিড লাইন রয়েছে, তার মধ্যে বাংলাদেশ অংশের কাজ শেষ করেছে পিজিসিবি। পিজিসিবির তরফ থেকে পিডিবিকে আনুষ্ঠানিকভাবে লাইনটি বিদ্যুৎ সরবরাহের জন্য প্রস্তত রয়েছে বলে জানানো হয়।  

আদানির সঙ্গে বিদ্যুৎকেন্দ্রে ব্যবহৃত কয়লার দাম, বিদ্যুতের সঞ্চালনসহ কয়েকটি বিষয় নিয়ে আলোচনা করতে আগামী ১৩ মার্চ ভারতে যাবেন বাংলাদেশের বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ডের (পিডিবি) বিদ্যুৎ বিভাগের কর্মকর্তারা।

আদানির কেন্দ্রটি ভারতের ঝাড়খণ্ডের কোড্ডা জেলায়। সেখান থেকে সঞ্চালন লাইনের মাধ্যমে বিদ্যুৎ আসবে চাঁপাইনবাবগঞ্জের রোহানপুরে, সেখান থেকে যাবে বগুড়াতে।

ঝাড়খণ্ডের বিদ্যুৎ কেন্দ্রটি থেকে সঞ্চালনের জন্য মোট ২৪৪ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন নির্মাণ করা হয়। এর মধ্যে ভারতে ১০৮ কিলোমিটার এবং বাংলাদেশে ১৩৬ কিলোমিটার সঞ্চালন লাইন রয়েছে।

বাণিজ্যিকভাবে চালু হওয়ার পর ৭২ ঘণ্টা একনাগাড়ে বিদ্যুৎকেন্দ্রটি চালু রাখতে হবে। এরপর ঠিক হবে কেন্দ্রটির সক্ষমতা। সেই অনুযায়ী, কেন্দ্রটি ক্যাপাসিটি পেমেন্ট পাবে।

গতমাসে দেওয়া প্রতিটন কয়লার দাম ৪০০ ডলার অনুযায়ী প্রতি ইউনিট বিদ্যুতের দাম পড়বে ২৫ টাকার বেশি। এর মধ্যে ক্যাপাসিটি পেমেন্ট বা কেন্দ্র ভাড়া রয়েছে ৫ টাকা ১১ পয়সা। বাংলাদেশে কোনো বেসরকারি বিদ্যুৎকেন্দ্রকে এত বেশি পরিমাণ কেন্দ্র ভাড়া দেওয়া হয়নি।

এছাড়া আদানিকে কয়লার সিস্টেমলসসহ বেশ কিছু সুবিধা দেওয়া হয়েছে, যা আর কাউকে দেওয়া হয়নি।

news24bd.tv/আইএএম