দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃদ্ধের ঘরে মিলল হাজারের বেশি মৃত কুকুর

সংগৃহীত ছবি

দক্ষিণ কোরিয়ায় বৃদ্ধের ঘরে মিলল হাজারের বেশি মৃত কুকুর

অনলাইন ডেস্ক

দক্ষিণ কোরিয়ায় ৬০ বছর বয়সী এক বৃদ্ধের বাড়ি থেকে এক হাজারের বেশি কুকুরের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তিনি কুকুরগুলোকে অনাহারে রেখে মেরে ফেলেছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। স্থানীয় সংবাদমাধ্যম দ্য কোরিয়া হেরাল্ডের বরাত দিয়ে এ খবর জানিয়েছে ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভি।  

দক্ষিণ কোরিয়ার পুলিশ জানিয়েছে, ওই বৃদ্ধ (পুলিশ তাঁর নাম প্রকাশ করেনি) রাস্তা থেকে বেওয়ারিশ কুকুর তুলে নিয়ে যেতেন এবং না খাইয়ে রেখে মেরে ফেলার কথা স্বীকার করেছেন।

তাঁর বিরুদ্ধে প্রাণী সংরক্ষণ আইনে মামলা করা হয়েছে।  

প্রাণী অধিকার কর্মীরা অভিযোগ করে বলেছেন, যেসব কুকুরের প্রজননের বয়স পেরিয়ে গেছে ও বাণিজ্যিকভাবে বিক্রির যোগ্য নয়, সেসব কুকুরকে দেখাশোনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল তাকে। এমনকি কুকুরগুলোর যত্ন নেওয়ার জন্য ২০২০ সাল থেকে প্রতি কুকুরের জন্য ১০ হাজার ওয়ান (কোরিয়ার মুদ্রা) দেওয়া হয়েছিল। তারপরও তিনি কুকুরগুলোকে তালাবদ্ধ করে রেখেছিলেন এবং অনাহারে রেখে মেরে ফেলেছেন।

 

স্থানীয় এক ব্যক্তি বলেছেন, তিনি তাঁর হারিয়ে যাওয়া কুকুর খুঁজতে গিয়ে এই হৃদয়বিদারক ঘটনা জানতে পারেন এবং পরে পুলিশে খবর দেন।  

দ্য কোরিয়া হেরাল্ডের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মৃত কুকুরগুলোকে একটি ঘরের ভেতর স্তূপ করে রাখা হয়েছিল। দ্রুতই মৃত কুকুরগুলোকে সরিয়ে ফেলা হবে বলে জানিয়েছে ইয়াংপিয়ংয়ের স্থানীয় সরকার।  

এদিকে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্ট জানিয়েছে, চারটি কুকুরকে জীবিত অবস্থায় ওই অত্যাচারী ব্যক্তির কাছ থেকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়েছে। সেগুলোকে একটি পশু চিকিৎসাকেন্দ্রে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। তবে চারটির মধ্যে দুটি কুকুরের অবস্থা বেশ আশঙ্কাজনক।  

দক্ষিণ কোরিয়ায় কঠোর পশু সুরক্ষা আইন রয়েছে। আইনে বলা হয়েছে, কেউ ইচ্ছাকৃতভাবে কুকুরকে অনাহারে রাখলে তার তিন বছরের কারাদণ্ড অথবা তিন কোটি ওয়ান জরিমানা হতে পারে। তারপরও দেশটিতে পশু নির্যাতনের ঘটনা বাড়ছে।

news24bd/ARH