নেভেনি আগুন, চাওয়া হতে পারে সেনা সহায়তা

সংগৃহীত ছবি

নেভেনি আগুন, চাওয়া হতে পারে সেনা সহায়তা

অনলাইন ডেস্ক

চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ডে তুলার গোডাউনে লাগা আগুন দীর্ঘ ৮ ঘণ্টা পেরিয়ে গেলেও নিয়ন্ত্রণে আসেনি। কবে নাগাদ আগুন নিয়ন্ত্রণে আসতে পারে সেটিও নিশ্চিত করে জানাতে পারেনি ফায়ার সার্ভিসের কর্মকর্তারা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনতে প্রয়োজনে সশস্ত্র বাহিনীর সহায়তা নেওয়া হবে বলে জানিয়েছেন জেলা প্রশাসক (ডিসি) আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান।  

শনিবার (১১ মার্চ) সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার ছোট কুমিরা নেমসন ডিপোর পাশে এসএল গ্রুপের মালিকানাধীন ইউনিটেক্স গ্রুপের ভাড়ায় নেওয়া একটি তুলার গোডাউনে এ আগুনের সূত্রপাত হয়।

এ দুর্ঘটনায় এখনো হতাহতের কোনো খবর পাওয়া যায়নি।

জেলা প্রশাসন জানায়, সপ্তাহখানেক ধরে এসএল গ্রুপের গোডাউনটিতে ওয়েল্ডিংয়ের কাজ চলছিল। ধারণা করা হচ্ছে, ওয়েল্ডিংয়ের আগুনের স্ফূলিঙ্গ থেকেই আগুনের সূত্রপাত হয়েছে। সন্ধ্যায় ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন ডিসি আবুল বাশার মো. ফখরুজ্জামান।

কুমিরা ফায়ার সার্ভিসের সিনিয়র স্টেশন অফিসার সুলতান মাহমুদ জানিয়েছেন, পানি সংকটের কারণে আগুন নিয়ন্ত্রণে বেগ পেতে হচ্ছে। আগুনে হতাহতের খবর পাওয়া যায়নি।

এর আগে, গত শনিবার (৪ মার্চ) সীতাকুণ্ডের সোনাইছড়ি ইউনিয়নের কদমরসুল কেশবপুর এলাকার সীমা অক্সিজেন লিমিটেড নামে কারখানায় বিস্ফোরণ এবং অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। এতে এ পর্যন্ত সাতজন নিহত এবং ৩৩ জন আহত হওয়ার খবর পাওয়া গেছে। বিস্ফোরণের ঘটনায় সোমবার রাতে সীতাকুণ্ড থানায় মামলা দায়ের হয়।

জানা গেছে, গত বছরের ৪ জুন রাতে সীতাকুণ্ডের কদমরসুল এলাকায় অবস্থিত বিএম ডিপোতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটে। আগুন লাগার ঘণ্টা খানেকের মধ্যে সেখানে বিকট শব্দে বিস্ফোরণ হয়। এরপর টানা ৮৬ ঘণ্টা আগুন জ্বলতে থাকে। একপর্যায়ে সেনাবাহিনী, পুলিশ ও ফায়ার সার্ভিসের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। ওই দুর্ঘটনায় আশপাশে থাকা ফায়ার সার্ভিসকর্মী ও শ্রমিকসহ ৫১ জন নিহত হন। এছাড়া আহত হন প্রায় দুই শতাধিক। পাশাপাশি ১৫৬টি আমদানি-রপ্তানি কনটেইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

news24bd.tv/AA