র্যাগিং নিয়ে হাইকোর্টের পূর্ণাঙ্গ আদেশে আবারও উত্তাপ ছড়িয়ে পড়েছে কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে। ছাত্রী ফুলপরীকে নির্যাতনের ভিডিও করা ছাত্রলীগ কর্মীর সেই মোবাইল ফোন এবং সে দিনের সিসিটিভি ফুটেজ এখনো উদ্ধার করতে পারেনি প্রশাসন। এ নিয়ে চলছে চিঠি চালাচালি। গঠন করা হয়েছে আরও কয়েকটি কমিটিও।
একমাস আগে ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের দেশরত্ন শেখ হাসিনা হলে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ফুলপরী খাতুনের ওপর নির্যাতন চালায় ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি সানজিদা চৌধুরী অন্তরা ও তার সহযোগীরা। সে সময় ফুলপরীকে বিবস্ত্র করে মোবাইল ফোনে ভিডিও ধারণ করে ছাত্রলীগ কর্মী হালিমা খাতুন উর্মী। উচ্চ আদালতের আদেশ থাকলেও তার সেই মোবাইল ফোনটি এখনো উদ্ধার করা যায়নি।
এদিকে ১২ ফেব্রুয়ারি নির্যাতনের দিনের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ এখনো খুঁজে পায়নি বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ।
প্রক্টর অধ্যাপক ড. শাহাদৎ হোসেন আজাদ জানান, সিসি ক্যামেরা সিস্টেমের পাসওয়ার্ড ও নিয়ন্ত্রণ কক্ষের চাবি জরুরি ভিত্তিতে প্রক্টরের কাছে বুঝিয়ে দিতে বলা হয়েছে। আর শিক্ষার পরিবেশ সুষ্ঠু ও সুন্দর রাখতে প্রক্টরের নেতৃত্বে গঠিত হয়েছে ৫ সদস্যের এন্টি র্যাগিং ভিজিলেন্স কমিটি।
এছাড়া বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যের নিয়োগ সংক্রান্ত অডিও ফাঁসের ব্যাপারেও ৫ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে।
news24bd.tv/আইএএম