এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা

বাংলাদেশের শুভ সূচনা

শ্রীলঙ্কাকে উড়িয়ে দিয়ে

এশিয়া কাপে বাংলাদেশের শুভ সূচনা

নিউজ টোয়েন্টিফোর ডেস্ক

ম্যাচ শুরুর আগেই ইনজুরিতে জর্জরিত দল। সাকিব, তামিম, শান্ত ও শোনা গেয়েছিল মুশফিক ও ইনজুরির আশঙ্কায় পড়েছেন। কিন্তু তার পরও মাঠে নেমেছেন বলতে গেলে সবাই পূর্ণ শক্তি নিয়ে।

খেলা শুরু হয়ে গেলে বাংলাদেশ ব্যাটিং করতে নেমে গেল।

এর পর যেটা ঘটলো শূন্য রানে মাঠ ছাড়লো লিটন ও সাকিব দুই ব্যাটসম্যান আউট হয়ে গেল। দলীয় রান ৩ তখন তামিমও হাতে ব্যথা পেয়ে উঠে গেল। মালিঙ্গার বোলিং তোপে খাদের কিনারে চলে গিয়ে ছিল তখন বাংলাদেশ। তবে এই বিপদজনক ম্যাচে সেঞ্চুরি করে মুশফিক দলকে টেনে তুলেছেন অনেক দূর।

মোহাম্মদ মিথুন কে সাথে নিয়ে ১৩১ রানের অবিশ্বাস্য জুটিপ্রথম গড়ে মুশফিক । পরে এক সাইট ধরে রেখে বাংলাদেশকে একাই টানতে থাকেন তিনি। একে বারে শেষে দিকে নয় নম্বরে আবার নামে তামিম, তার পর যা হলো সেটা ইতিহাস। তামিম ব্যাট করলেন এক হাতে। মশফিকের সাথে সঙ্গ দিয়েছেন শেষ পর্যন্ত। তাদের এই জুটিতেও এসেছে ৩২ রান। মোট বাংলাদেশ দলের স্কোর  ৪৯.২ ওভারে ২৬১ রান। মুশফিক একাই ১৪৪ রান ।

সেই স্বপ্নের বাতায়ন খুলে শেষ পর্যন্ত, এশিয়া কাপের উদ্বোধনী ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে ১৩৭ রানের বিশাল ব্যবধানে হারিয়ে দিয়েছে টিম বাংলাদেশ। তামিম-মুশফিক-মিঠুনদের গড়ে দেয়া ভিতকে পরিপূর্ণতা এনে দিয়েছেন বোলাররা। দুর্দান্ত বোলিং করেছেন বাংলাদেশের মাশরাফি, মোস্তাফিজ, মেহেদী হাসান মিরাজ, রুবেল হোসেন কিংবা সাকিব আল হাসান। ৩৫.২ ওভারে মাত্র ১২৪ রানেই শ্রীলঙ্কাকে অলআউট করে দিয়েছে মাশরাফি অ্যান্ড কোং।

ভাঙা হাত নিয়ে ব্যাট করতে নেমে তামিম ইকবাল যেভাবে বাংলাদেশের ক্রিকেটারদের মধ্যে সাহসের সঞ্চার করেছেন, সেটাই শেষ পর্যন্ত বাংলাদেশের জয়ের ক্ষেত্রে বিশাল এক অনুপ্রেরণা তৈরি করে দিলো। সেই অনুপ্রেরণা নিয়েই শুরু থেকে লঙ্কান ব্যাটসম্যানদের ওপর চেপে বসে বাংলাদেশের বোলাররা।

বোলারদের দুর্দান্ত বোলিংয়ের সামনে শুরু থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারাতে থাকে লঙ্কান ব্যাটসম্যানরা। ২২ রানে মোস্তাফিজের বলে কুশল মেন্ডিস আউট হওয়ার পর থেকে বিপর্যয় শুরু লঙ্কানদের। ২৭ রান করা উপুল থারাঙ্গাকে বোল্ড করে মাশরাফি একটা বার্তা দিয়ে দেন।

২৮ রানে ২, ৩২ রানে ৩, ৩৮ রানে ৪, ৬০ রানে ৫, ৬৩ রানে ৬ এবং ৬৯ রান তুলতেই ৭ উইকেট হারিয়ে বসে শ্রীলঙ্কা। ২৬২ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে একের পর এক লঙ্কানদের উইকেট হারানো জয় ত্বরান্বিত হয় বাংলাদেশের।

শুরুতেই ঝড় তুলেছিলেন মোস্তাফিজ এবং মাশরাফি। তাদের সঙ্গে পরে যোগ দেন মেহেদী হাসান মিরাজ এবং রুবেল হোসেনরা। একটি আবার রানআউটও হয়েছে।

লঙ্কানদের কোনো ব্যাটম্যানকেই দাঁড়াতে দিলেন না বাংলাদেশের বোলাররা। সর্বোচ্চ ২৭ রান করেছিলেন উপুল থারাঙ্গা। মাশরাফির বলে বোল্ড হয়ে ফিরে যান তিনি। ১৬ রান করেছিলেন অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউজ। ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান হিসেবে তার উইকেট তুলে নেন রুবেল হোসেন। ১১ রান করেছিলেন কুশল পেরেরা। তার উইকেট তুলে নেন মেহেদী হাসান মিরাজ।

থিসারা পেরেরা ছিলেন শেষের শঙ্কা। কিন্তু তাকে মাত্র ৬ রানেই ফিরিয়ে দেন মেহেদী হাসান মিরাজ। শেষ মুহূর্তে দিলরুযান পেরেরা আর সুরাঙ্গা লাকমাল ভালো দুটি ইনিংস খেলেন। ২৯ রান করেন দিলরুয়ান। আর লাকমাল করেন ২০ রান।

দিলরুয়ানকে ফেরান মোসাদ্দেক। লাকমালকে বোল্ড করে ফেরালেন মোস্তাফিজ। আমিলা আলফনসোকে ফিরিয়ে দিয়ে উইকেটের খাতায় নাম লেখান সাকিবও। মাশরাফি, মোস্তাফিজ এবং মিরাজ নেন ২টি করে উইকেট। সাকিব, রুবেল এবং মোসাদ্দেক নেন ১টি করে উইকেট।


NEWS24▐ কামরুল

সম্পর্কিত খবর