বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে চীন সম্ভাব্য সবকিছু করবে বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশে নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত ইয়াও ওয়েন। তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক উন্নয়নের ক্ষেত্রে বাংলাদেশ এখন উড্ডয়নের পথে। আপনারা স্বল্পোন্নত দেশের তালিকা থেকে উত্তরণের পথে আছেন। তাছাড়া স্বল্পোন্নত দেশ হয়েও বিশ্বে দেনদরবার করছেন।
এফবিসিসিআইয়ের সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত ‘বাংলাদেশ বিজনেস সামিট-২০২৩’ এ অংশ নিয়ে এক সাক্ষাৎকারে তিনি এসব কথা বলেন। বাংলাদেশে চীনের ভবিষ্যৎ বিনিয়োগ নিয়ে এ সময় তাকে প্রশ্ন করা হয়।
ইয়াও ওয়েন বলেন, ‘চীনের ৩০টির বেশি বড় কোম্পানি ও তাদের প্রতিনিধিরা এই সামিটে অংশ নিয়েছেন। চীন সরকারের প্রতিনিধিরাও তাঁদের সঙ্গে আছেন। বাংলাদেশে ব্যবসা ও বিনিয়োগের সুযোগ খুঁজতে চীন সম্ভাব্য সবকিছু করবে। ’
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘বাংলাদেশে প্রথমে আইসিটি খাতে বিনিয়োগ করতে চাইছে চীন। আমরা এই খাতে এখনো কাজ করছি। আমরা বাংলাদেশে সিক্স-জি নেটওয়ার্ক প্রতিষ্ঠায় কাজ করতে চাই। সবুজ জ্বালানিতে বিনিয়োগ করারও পরিকল্পনা আছে। একই সঙ্গে আমরা কৃষি খাতসহ কৃষি প্রক্রিয়াজাতকরণ শিল্পে বিনিয়োগে আগ্রহী। ’
তিনি বলেন, ‘চীনা বিনিয়োগের অন্যতম আকর্ষণীয় খাত বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প। বাংলাদেশে তৈরি পোশাক খাতের সব কাঁচামাল উৎপাদনে চীন সাহায্য করতে চায়। বাংলাদেশের তৈরি পোশাক খাতে একটি স্বয়ংসম্পূর্ণ উৎপাদনব্যবস্থা গড়ে তুলতে চাই আমরা। এটা করা গেলে বাংলাদেশ পোশাক খাতের জন্য যেসব কাঁচামাল চীনসহ অন্যান্য দেশ থেকে আমদানি করে, তা আর করা লাগবে না। বাংলাদেশ তখন টেক্সটাইল ও তৈরি পোশাকশিল্পের জন্য প্রয়োজনীয় কাঁচামাল স্থানীয় পর্যায়ে উৎপাদন করতে পারবে। স্থানীয় পর্যায়ে কাঁচামাল উৎপাদন করা গেলে বাংলাদেশের তৈরি পোশাকশিল্প বিশ্ববাজারে আরও বেশি প্রতিযোগিতামূলক হবে। এভাবে আমরা তৈরি পোশাক খাতে সহযোগিতা বাড়াতে পারি এবং পোশাকশিল্পে বাংলাদেশ আরও এগিয়ে যেতে পারবে। ’
চীনা রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘চীন এরই মধ্যে বাংলাদেশ দ্বিতীয় বৃহত্তম বিদেশি বিনিয়োগকারী। আমাদের পরিকল্পনা, আগামী পাঁচ বছরের মধ্যে বাংলাদেশে চীন হবে এক নম্বর বিদেশি বিনিয়োগকারী। ’ তিনি বলেন, ‘এখনই সুনির্দিষ্ট কোনো পরিমাণ বলতে পারব না। তবে এটা বলতে পারি, আগামী পাঁচ বছরে চীনের বিনিয়োগ প্রতিবছরে কমপক্ষে ১ বিলিয়ন (১০০ কোটি) মার্কিন ডলার হবে। ’
news24bd.tv/আইএএম
