পঞ্চগড়ের ঘটনা ঢাকা ও লন্ডন থেকে মনিটর করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

সংগৃহীত ছবি

পঞ্চগড়ের ঘটনা ঢাকা ও লন্ডন থেকে মনিটর করা হয়েছে: তথ্যমন্ত্রী

অনলাইন ডেস্ক

তথ্য ও সম্প্রচার মন্ত্রী ড. হাসান মাহমুদ বলেছেন, ‘যারা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায় তাদের মহাপরিকল্পনার অংশ হিসেবে পঞ্চগড়ে আহমদিয়া সম্প্রদায়ের ওপর হামলা হয়েছে। এই ঘটনায় যারা যুক্ত ছিলো বেশির ভাগই বিএনপি-জামায়াতের নেতাকর্মী। এটি মনিটর করা হয়েছে ঢাকা এবং লন্ডন থেকে। ’

রোববার (১২ মার্চ) দুপুরে পঞ্চগড়ে সদরের আহমদনগর এবং বোদা উপজেলার শালশিরি এলাকার ক্ষতিগ্রস্থ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের বাড়িঘর পরিদর্শনে এসে এসব কথা বলেন তিনি।

তিনি বলেন, পঞ্চগড়ে গন্ডগোল লাগিয়ে সারাদেশে একটা গন্ডগোল লাগানোর চেষ্টা তাদের ছিল। তবে আমরা পুলিশ প্রশাসনকে বলেছি, যে বা যারাই এর সাথে যুক্ত থাকুক না কেন, কোন দল বা কোন রং সেটি না দেখে ব্যবস্থা নিতে এবং সে মোতাবেক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত ২, ৩ ও ৪ মার্চ যেভাবে হামলা পরিচালনা করা হয়েছে সেটি অত্যন্ত জঘন্য। এই হামলার আগে থেকেই উস্কানী ছড়ানো হচ্ছিলো।

বাঁশেরকেল্লা, কাদিয়ানী বিরোধী ঐক্য পরিষদ, বিএনপির সাবেক এমপি রুমিন ফারহানা এবং হারুন অর রশিদের পেইজ থেকেও আগে থেকেই উস্কানী ছড়ানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, আহমদিয়াদের পাশাপাশি স্থানীয় আওয়ামী লীগ নেতাকর্মীদের বাড়িতেও হামলা হয়েছে। ডিসি অফিস, এসপি অফিস এবং থানায় হামলার চেষ্টা করা হয়েছে। র‌্যাবের গাড়ি, ট্রাফিক অফিসে আগুন দিয়েছে হামলাকারীরা। শহরের দোকানপাট ভাঙচুর করা হয়েছে। ২০১৩, ২০১৪ ও ২০১৫ সালে যেভাবে সরকারি স্থাপনায় আক্রমণ করা হয়েছিলো, ঠিক একই কায়দায় আহমদিয়াদের জলসাকে কেন্দ্র করে হামলা করা হয়েছে।

এসময় অন্যদের মধ্যে রেলমন্ত্রী নুরুল ইসলাম সুজন, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক সুজিত রায় নন্দী, জেলা প্রশাসক জহুরুল ইসলাম, পুলিশ সুপার এস. এম সিরাজুল হুদা, জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি নাঈমুজ্জামান মুক্তা উপস্থিত ছিলেন।

প্রসঙ্গত, গত ৩ মার্চ আহমদিয়া সম্প্রদায়ের (কাদিয়ানী) বার্ষিক সালানা জলসাকে কেন্দ্র করে পঞ্চগড়ে সংঘর্ষ, হামলা, ভাঙচুর ও লুটপাটের ঘটনা ঘটে। এতে দুইজন নিহত হন।
news24bd.tv/AA