গণতন্ত্র ও মানবাধিকারের বিষয়ে যুক্তরাজ্যের কোনো দুর্বলতা থাকলে এ বিষয়ে বাংলাদেশের কাছ থেকে পরামর্শ গ্রহণ করতে বলেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। পাশাপাশি বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্যকে দুঃশ্চিন্তা করতে বারণ করেছেন তিনি।
যুক্তরাজ্যের ইন্দো–প্যাসিফিকবিষয়ক পররাষ্ট্র প্রতিমন্ত্রী অ্যান-মারি ট্রিভেলিয়ানকে রোববার (১২ মার্চ) এসব কথা বলেন বলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিন দিনের বাংলাদেশ সফরে আসা যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী সফরের শেষ দিন দুপুরে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গে তাঁর দপ্তরে সাক্ষাৎ করেন।
সাক্ষাতের বিষয়বস্তু নিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘ওনারা জিজ্ঞেস করেননি, আমি বলেছি আগামী নির্বাচনের কথা। আমরা একটা স্বচ্ছ, সুন্দর ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করতে চাই। সে জন্য যেসব প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা উচিত, আমরা সেগুলো তৈরি করেছি। ’
পররাষ্ট্রমন্ত্রী নির্বাচন কমিশনকে ক্ষমতা দেওয়ার বিষয়টি যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রীর কাছে উল্লেখ করে জানিয়েছে, নির্বাচনের সময় কমিশন যা চায়, সেটাই করতে পারে।
বাংলাদেশের জনগণ ভোটের সময় ভুল করে না জানিয়ে আব্দুল মোমেন বলেন, ‘আমাদের জনগণ অত্যন্ত সেয়ানা। তারা অত্যন্ত পরিপক্ব। ভোটের সময় তারা কখনো ভুল ভোট দেয় না। সুতরাং, এসব নিয়ে আপনাদের (যুক্তরাজ্যের) দুশ্চিন্তা করার কোনো কারণ নেই। ’
কোনো দুর্বলতা থাকলে ব্রিটিশ প্রতিমন্ত্রীকে বাংলাদেশ থেকে নেওয়ার পরামর্শ দেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন। তিনি বলেন, ‘আমাদের রক্তে হচ্ছে গণতন্ত্র, ন্যায়পরায়ণতা ও মানবাধিকার। এসব বিষয়ে অন্য কারও কাছ থেকে আমাদের শিক্ষা নেওয়ার সুযোগ নেই। আপনাদের দুর্বলতা থাকলে আমাদের থেকে নিতে পারেন। ’
নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রতিমন্ত্রী কিছু বলেছেন কি না জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘তিনি কিছু বলেননি, শুনেছেন। উনি বলেছেন, গণতন্ত্রে ভিন্নমত থাকতে পারে। ’
রোহিঙ্গা ইস্যুতে বিস্তর আলাপ হয়েছে জানিয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘রোহিঙ্গা নিয়ে অনেক অনেক আলাপ হয়েছে। ওটাই মূল ইস্যু ছিল। মিয়ানমারে সেনাশাসন আসার পর তাদের সঙ্গে আমাদের সংলাপ হয়েছে কি না জানতে চেয়েছেন তিনি। আমরা বলেছি, হয়েছে। ’
news24bd.tv/আইএএম