মে মাসে শুরু হতে পারে দেশের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি নারী ফুটবল

সংগৃহীত ছবি

মে মাসে শুরু হতে পারে দেশের প্রথম ফ্র্যাঞ্চাইজি নারী ফুটবল

অনলাইন ডেস্ক

এশিয়ায় প্রথম নারী ফ্রাঞ্চাইজি ফুটবল লিগ আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। এর মাধ্যমে দেশের নারী ফুটবল পা রাখছে নতুন যুগে। কে-স্পোর্টসের সহায়তায় বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন এমন উদ্যোগ নিয়েছে। যাতে খুশি নারী ফুটবলারও।

আয়েজকরা জানান এই লিগ থেকে মেয়েরা আর্থিকভাবে লাভবান হবে আর বেশি ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে।

বাংলাদেশের নারী ফুটবলের ঘরোয়া লিগের কাঠামো এখনো নাজুক। নাম মাত্র মাঝে সাঝে যে একটি নারী লিগ আয়োজন হয় তার মান নিয়েও আছে অনেক প্রশ্ন। তবে এশিয়ায় প্রথমবারের মতো নারীদের নিয়ে ফ্রাঞ্চাইজি লিগ (উইমেন্স সুপার লিগ) আয়োজন করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন।

আলোচনায় ছিলো ছেলেদের ফুটবলে হবে ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ তবে ধুঁকতে থাকা ছেলেদের ফুটবল থেকে নজর সরিয়ে দিয়ে চমক হয়ে এসেছে উইমেন্স সুপার লিগ। বাফুফে ও কে-স্পোর্টসের যৌথ উদ্যোগে যে টুর্নামেন্টের প্রস্তাবিত সূচি মে মাসে।

মেয়েদের ফ্র্যাঞ্চাইজি লিগ মাঠে গড়ানোর কাজটা কঠিন। কিন্তু এটিকে চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন বাফুফে সভাপতি কাজী সালাউদ্দিন, ‘এটা আমাদের জন্য একেবারে নতুন ধারণা। এখানে অনেকগুলো বিষয় আছে। ফ্র্যাঞ্চাইজিতে কারা কারা আসবে, খেলোয়াড়দের মূল্য কত হবে, এটা বড় ইস্যু। কাজটা কঠিন। কারণ, আমাদের মাত্র ৫-৬টি ক্লাব। কীভাবে এটার আয়োজন করব, আমার সে ব্যাপারে কোনো ধারণা নেই। কীভাবে মেয়েদের ছাড়পত্র দেবে ক্লাবগুলো, সেটাও দেখতে হবে। সব মিলিয়ে এটা আমাদের জন্য একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার। তারপরও বিষয়টার অনুমতি দিয়েছি। কারণ, এখানে একটা বড় সুবিধা হচ্ছে এই মেয়েরা অনেক ম্যাচ খেলার সুযোগ পাবে। তা ছাড়া তারা অর্থনৈতিকভাবেও লাভবান হবে। ’

গত বছর নেপালে নারী সাফ জয়ের পর বাংলাদেশের ফুটবল যেন এখন কেবল নারী কেন্দ্রিক। তাই আয়েজকদের দাবি বাংলাদেশের নারী ফুটবলের অগ্রযাত্রায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে উইমেন্স সুপার লিগ! ফ্র্যাঞ্চাইজি ফুটবল লিগটাকে নারী ফুটবলের নতুন যুগের শুরু হিসেবে দেখছেন বাফুফের মহিলা কমিটির চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার, ‘সবচেয়ে বড় কথা, যখন দায়িত্ব নিই, তখন প্রথম লক্ষ্যই ছিল মেয়েদের ফুটবলকে এগিয়ে নেওয়া। অনেক কষ্ট করে একটা পর্যায়ে এসে আমরা এই অবস্থানে দাঁড়িয়েছি। এটা মেয়েদের ফুটবলের নতুন যুগের শুরু। ’

এমন আয়েজনে খুশি দেশের নারী ফুটবলাররা। বাংলাদেশ অধিনায়ক সাবিনা খাতুন বলেছেন, ‘এই লিগ নিয়ে আমি রোমাঞ্চিত। আশা করি, মহিলা ফুটবল এগিয়ে যাওয়ার জন্য এটা বড় ভূমিকা পালন করবে। এখানে বিদেশি ফুটবলার, ইউরোপ ও এশিয়ার ফুটবলার খেলবে। তাই লিগের মানও অনেক ভালো হবে। ’

পাঁচ থেকে ছয় দল নিয়ে হতে পারে নারীদের সুপার লিগ। আর ভেন্যু হতে পারে ঢাকা ও সিলেটে। প্রস্তাবিত ম্যাচের সংখ্যা ১৯ থেকে ২৪ টি। ভেন্যু হতে পারে ঢাকা ও সিলেট। বাফুফে নারী উইংয়ে চেয়ারম্যান মাহফুজা আক্তার কিরণ বলেন, ‘বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামের সংস্কার কাজ চলছে। সেখানে ম্যাচ আয়োজন করা সম্ভব বলে মনে হয় না। ঢাকার ম্যাচগুলোর জন্য আমাদের বিবেচনায় রয়েছে বসুন্ধরা স্পোর্টস কমপ্লেক্স এবং ঢাকার বাইরে সিলেটে ম্যাচ আয়েজিত হতে পারে। ’

news24bd.tv/SHS

সম্পর্কিত খবর