এই চাওয়াটুকু মনে হয় অহেতুক নয়: চঞ্চল চৌধুরী

সংগৃহীত ছবি

এই চাওয়াটুকু মনে হয় অহেতুক নয়: চঞ্চল চৌধুরী

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা শহরের জ্যামে আটকে প্রাণ ওষ্ঠাগত নগরবাসীর। জ্যামে আটকে হাঁসফাঁস করতে হয় না- এমন মানুষ এ শহরে খুঁজে পাওয়া ভার। নিজের ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে সোমবার এক স্ট্যাটাসে ঢাকার জ্যামের বিষয়ে কথা বলেছেন নাটক ও সিনেমা জগতের সুপারস্টার চঞ্জল চৌধুরী। ছেলেকে স্কুল থেকে নিয়ে আসছেন এমন একটা ছবিও শেয়ার করেছেন তিনি।

 

চঞ্জল চৌধুরী লিখেছেন, বহুদিন পর তাঁকে স্কুল থেকে নিতে আসা। অনেক মান অভিমানের পর এই হাসি মুখ।  খুব আফসোস হয়, ছোটবেলায় আমাদের বাবা-মা কোনোদিনই স্কুলে আনা-নেওয়া করেননি। গ্রামের স্কুল তো, দল বেঁধে সব ছেলেমেয়েরা একসঙ্গে একমাইল হেঁটে স্কুলে যেতাম-আসতাম।

তিনি লেখেন, ঢাকা শহরের বাবা-মাদের জন্য এটি একটি কঠিনতম কাজ। সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া, কোচিংয়ে আনা-নেওয়া, এই করতেই তো দিন শেষ। তারপর প্রতিদিনের অবিস্মরণীয় জ্যাম। বাবা-মার এই কষ্টটুকু যদি অন্ততঃ সকল সন্তান বুঝতো! তাঁরা একটু হলেও শান্তি পেতো!’

চঞ্চল চৌধুরী লেখেন, ‘আর ঢাকা শহরে সন্তানের পড়ালেখার খরচ চালানোর ব্যাপারটা তো বলারই অপেক্ষা রাখে না। আমার বিশ্বাস, আমাদের বাবা-মা আমাদের মানুষ করার জন্য যে যুদ্ধ করেছেন, আমরা তাঁদের চেয়ে বেশি বৈকি কম যুদ্ধ করছি না। অবশ্য যেসব অতি বিত্তশালী বাবামা শুধুই বাসার ড্রাইভার বা কাজের বুয়াকে দিয়ে তাঁদের সন্তানকে স্কুলে আনা-নেওয়া করান, তাঁদের কথা আলাদা। ’

তিনি আরও লেখেন, ‘কোনো প্রতিদান চাই না কারো কাছে। শুধু নগর পিতার কাছে প্রার্থনা- রাস্তার জ্যামটা কমানোর জন্য কী কোনো আশু পদক্ষেপ নেওয়া যায়। যেকোনোভাবে সঠিক নিয়মে ঢাকা শহরের গাড়িগুলো চলানোর ব্যবস্থা করা যায় না? যেহেতু প্রয়োজনীয় কর পরিশোধ করেই এই শহরে থাকি, আমার এই চাওয়াটুকু মনে হয় অহেতুক নয়। প্রতিদিনের জ্যামে ওষ্ঠাগত প্রাণ। ’

news24bd.tv/আইএএম