আইনজীবী সমিতির নির্বাচনকে কেন্দ্র করে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে তাণ্ডব চালিয়েছে পুলিশ। পুলিশের হামলায় বহু সাংবাদিক আহত হয়েছেন! নির্বাচনকে কেন্দ্র করে বুধবার (১৫) সকাল থেকে সুপ্রিম কোর্ট প্রাঙ্গণে থমথমে ভাব বিরাজ করছিল। সেখানে মোতায়েন করা হয় ৫০০’র বেশি পুলিশ।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, এটিএন নিউজের সাংবাদিক জাবেদ আকতার ও বৈশাখী টেলিভিশনের ক্যামেরাম্যানসহ বেশ কয়েকজন সাংবাদিককে পুলিশ মারধর করেছে।
বিএনপিপন্থীদেরও মেরে বের করে দেওয়া হয়েছে।এ সময় আরও যেসব সাংবাদিক আহত হয়েছেন তাদের মধ্যে রয়েছেন, মানবজমিনের মাল্টিমিডিয়া রিপোর্টার আব্দুল্লাহ আল মারুফ, এটিএন বাংলার ক্যামেরাম্যান হুমায়ুন, সময় টিভির ক্যামেরাম্যান সোলাইমান স্বপন, ডিবিসির ক্যামেরাম্যান মেহেদী হাসান মিম, জাগো নিউজের রিপোর্টর ফজলুল হক মেধা, আজকের পত্রিকার রিপোর্টার এস এম নূর মোহাম্মদ। বৈশাখী টিভির ক্যামেরাম্যান ইব্রাহিম হোসেন।
জাহিদ হাসান নামে একজন প্রত্যক্ষদর্শী জানান, রিপোর্টার জাবেদ আখতারকে মারধর করা হচ্ছিল।
তিনি জানান, ‘পুলিশ হঠাৎ আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠে। দেড়শ’-দুইশ’ পুলিশের বাঁশির হুইসেল আর লাঠিচার্জ, চড় থাপ্পর। মুহূর্তের মধ্যে কী যেন ঘটে গেলো। কিছুই বোঝার উপায় ছিল না। বৈশাখী টিভির ক্যামেরাম্যানের পুরো টি-শার্ট ছিঁড়ে ফেলছে মারতে মারতে। কারো আঙুল ফেটে গেছে, কারো পায়ে বুটের লাথি। ’
তিনি আরও জানান, ‘আজকের পত্রিকার নূর মোহাম্মদ, কালবেলার কবির, ঢাকা পোস্টের মেহেদি হাসান ডালিম প্রতি চড়াও হয় পুলিশ। জাগো নিউজের ফজলুক হক মৃধা আহত হন। ’
জাহিদ হাসান জানান, ‘জাবেদ আখতার দীর্ঘদিন থেকে অসুস্থ। তার পায়ে সমস্যা। ঠিক মতো হাঁটতে পারে না। তিনি পুলিশকে অনুরোধ করার পরও তাকে যেভাবে কোনো কারণ ছাড়াই মেরেছে, তা কোনোভাবে গ্রহণযোগ্য নয়। একটি অপ্রত্যাশিত ঘটনা চোখের সামনে দেখার পর একটা কথাই মনে আসছে, সাংবাদিকতার মতো বিপজ্জনক পেশা আর নেই। ’
এদিকে, সাংবাদিকরা হামলার শিকার হওয়ায় প্রধান বিচারপতি ফয়েজ হাসান সিদ্দিকী মর্মাহত হয়েছেন। এ ঘটনায় ব্যবস্থা নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।
news24bd.tv/আইএএম