খাবার দিতে দেরি হওয়ায় হোটেল ভাঙচুর ছাত্রলীগ কর্মীর

সংগৃহীত ছবি

খাবার দিতে দেরি হওয়ায় হোটেল ভাঙচুর ছাত্রলীগ কর্মীর

অনলাইন ডেস্ক

ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) প্রধান ফটক-সংলগ্ন এক হোটেলে ভাঙচুর ও সিলগালা করার অভিযোগ উঠেছে শাখা ছাত্রলীগের কর্মী তুষার ও তার সঙ্গীদের বিরুদ্ধে। খাবার দিতে দেরি হওয়ায় তিনি এমন কাণ্ড ঘটিয়েছেন বলে জানা গেছে।

এ নিয়ে বুধবার (১৫ মার্চ) বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর পাঁচ দফা দাবি সম্বলিত স্মারকলিপি দিয়েছে স্থানীয় দোকানমালিক সমিতি। মঙ্গলবার দুপুরে ফটক-সংলগ্ন পিন্টু হোটেলে এ ঘটনা ঘটে।

ভাঙচুরের ঘটনায় অভিযুক্ত তুষার বিশ্ববিদ্যালয়ের ইসলামের ইতিহাস ও সংস্কৃতি বিভাগের ২০১৩-১৪ শিক্ষাবর্ষের শিক্ষার্থী ও শাখা ছাত্রলীগের কর্মী।

দোকান মালিক সমিতির স্মারকলিপিকে উল্লেখ করা হয়, মঙ্গলবার দুপুরে হোটেলে ভাত ফুরিয়ে যাওয়ায় তুষার ও তার সঙ্গীদের খাবার দিতে দেরি হয়। এ সময় তাদের সাথে বাকবিতণ্ডার এক পর্যায়ে হোটেলের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করে তুষার ও তার সঙ্গীরা। এছাড়া হোটেল মালিককেও মারধর করেন বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

স্মারকলিপিতে উল্লেখ পাঁচ দফা দাবিগুলো হলো- উক্ত ঘটনার তদন্তপূর্বক সুষ্ঠু বিচার করতে হবে, দ্রব্যাদি ক্রয়ের সাথে সাথে মূল্য পরিশোধ করতে হবে, এলাকার দোকানদারদের সাথে বিনা কারণে কোনো শিক্ষার্থীরা খারাপ আচরণ করলে তার দায়ভার বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের নিতে হবে, আন্দোলন করার নামে মিল ও খড়ির আড়ৎ থেকে খড়ি আনতে পারবে না, রাজনৈতিক দলের দোহাই দিয়ে কেউ কোনো প্রকার অশান্তি সৃষ্টি করলে তার দায় বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে নিতে হবে।

হোটেলটির মালিক পিন্টু বলেন, ‘খাবার দিতে দেরি করায় দোকানের চেয়ার-টেবিল ভাঙচুর করেছে তারা। খাবারের চামচ দিয়ে আমাকে মারধরও করেছে। পরে দোকান খুললে আবারো মারার হুমকিও দেয় ওই শিক্ষার্থীরা। ’

জানতে চাইলে অভিযুক্ত ছাত্রলীগ কর্মী তুষার বলেন, ‘আমরা ১০ মিনিট অপেক্ষা করার পরেও আমাদের পরে আসা কর্মকর্তা ও পুলিশকে আগে খাবার দেয়। তাই তাদের সাথে বাকবিতণ্ডা হয়। কিন্তু আমি মারধর বা ভাঙচুরের বিষয়ে কিছু জানি না। ’