দূষণ রোধে নেওয়া ৪'শ কোটির প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে দুদক

সংগৃহীত ছবি

দূষণ রোধে নেওয়া ৪'শ কোটির প্রকল্পে দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে দুদক

তাসলিম তৌহিদ

বায়ু দূষণে শীর্ষ থাকা শহরে তালিকায় দীর্ঘদিন থেকে আছে রাজধানী ঢাকার নাম। সারাদেশের পরিস্থিতিও বসবসের অনুপযোগী হয়ে উঠছে। দূষণ কমিয়ে দেশে নির্মল পরিবেশ তৈরিতে ৪’শ কোটি টাকার প্রকল্প নিয়েছিল পরিবেশ অধিদপ্তর। তবে সেই প্রকল্পে দূনীতির তথ্য পেয়েছে দুনীতি দমন কমিশন-দুদক।

এছাড়াও পরিবেশগত ছাড়পত্র প্রদান, বেআইনি প্রতিষ্ঠানকে লাইসেন্স দেয়া, অবৈধ ইটভাটা পরিচালনায় সহায়তাসহ ৬ খাতে দুর্নীতি প্রমাণ পেয়েছে  প্রতিষ্ঠানটি। এসব তথ্য প্রমাণ সুপারিশ আকারে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দিবে দুদক। তবে, টিআইবি বলছে, শুধু সুপারিশ নয়, দুর্নীতিকারীর বিরুদ্ধে নিতে হবে আইনি পদক্ষেপ।

এদিকে, দেশে বাড়ছে অবৈধ ইটভাটা, ক্ষতি হচ্ছে আবাদি জমি ও দূষিত হচ্ছে পরিবেশ।

এসব ইটভাটা বন্ধে উচ্চ আদালত বারবার নির্দেশনা দিলেও কাজে আসছে না। দুদকের প্রতিবেদন  বলছে, পরিবেশ অধিদপ্তরের যোগসাজশে চলছে এসব অবৈধে ইটভাটা।

সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মনজিল মোরসেদ বলেন, ইটভাটা হোক বা শিল্পপ্রতিষ্ঠানের সঙ্গে পরিবেশ অধিদপ্তরের একটি আর্থিক সম্পৃক্ততা এবং সুসম্পর্ক গড়ে উঠেছে। এ কারণেই আদালতের নির্দেশ স্বত্বেও হাজার হাজার ইটভাটা বন্ধ করা হচ্ছে না।  

  • পরিবেশ অধিদপ্তরের যেসব খাতে দুর্নীতির তথ্য পেয়েছে দুদক
  • পরিবেশ অধিদপ্তরের অসাধু কর্মকর্তা/কর্মচারীদের অনিয়ম-দুর্নীতি
  • প্রকল্প বাস্তবায়নের ক্ষেত্রে দুর্নীতি
  • ইটভাটার লাইসেন্স প্রদানে দুর্নীতি
  • পরিবেশগত ছাড়পত্র ও নবায়নের মাধ্যমে অবৈধ সুবিধা গ্রহণ 
  • পরিবেশ বিধ্বংসী বিভিন্ন কর্মকাণ্ডে নোটিশ দিয়ে ব্যবস্থা না নেওয়া
  • অসাধু কর্মকর্তার সহযোগিতায় 'হিডেন ইকনোমির আওতায়' পরিবেশ দূষণ

এসব দুর্নীতি বন্ধে আইনের যাথাযথ প্রয়োগ, মনিটারিং নিশ্চিত করাসহ ৪ দফা সুপারিশ করে রাষ্ট্রপতির কাছে জমা দেবে সংস্থাটি।

এ বিষয়ে দুদক কমিশনার মোজাম্মেল হক বলেন, অর্থ ব্যবহারের যে বিভিন্ন ক্ষেত্র এবং সেগুলো যথাযতভাবে হয়েছে কি না এবং অডিট রিপোর্টসহ সামগ্রিকভাবে যেসব যায়গায় দুর্বলতা রয়েছে সেগুলো কমিটি বের করার চেষ্টা করেছি। এবং সেগুলো বিবেচনা করার জন্য প্রতিবেদন আকারে সরকারের কাছে পাঠিয়েছি।  

তবে টিআইবি বলছে সুপারিশের পাশাপাশি দুদককে শক্ত অবস্থানে যেতে হবে। সংস্থাটির নির্বাহী পরিচালক ইফতেখারুজ্জামান বলেন, দুদক যদি এ বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নিতেই চায় তবে তাদের আইন অনুযায়ী তদন্ত করে জবাব দেওয়ার ক্ষেত্রটা তৈরি করতে হবে।  

গেল কয়েক বছর ধরে সরকারি ২৮ প্রতিষ্ঠানের অনিয়ম-দুর্নীতি চিহ্নিত করে, তা বন্ধে সুপারিশ করে থাকে দুদক। তবে, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সুপারিশ আমলে না নেওয়ার অভিযোগ করা হয় সংস্থাটির পক্ষ থেকে।

news24bd/আজিজ