সাতক্ষীরার শ্যামনগরে ছেলেকে জুসের সাথে বিষ মিশিয়ে খাইয়ে হত্যার ঘটনায় দায় স্বীকার করায় মা সুমিতা দত্তকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। এ ঘটনায় শনিবার দুপুরে সুমিতা দত্তকে জেলহাজতে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
এর আগে শুক্রবার বিকালে তাকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আটক করে নিয়ে যাবার পর রাতে জবানবন্দীতে সে এই হত্যার কথা স্বীকার করে। এ ঘটনায় নিহত স্কুল ছাত্র রোহিতের কাকা উজ্জ্বল দত্ত বাদি হয়ে শুক্রবার রাতেই রোহিতের মা সুস্মিতা দত্তের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আরও তিনজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।
শ্যামনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. নুরুল ইসলাম বাদল এ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে জানান, ঘটনাটি সন্দেহজনক মনে হওয়ায় শিশুটির মা ও বাপ্পী সরদার নামে স্থানীয় এক ব্যক্তিকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় আনা হয়। জিজ্ঞাসাবাদে মা সুস্মিতা দত্ত দারিদ্র্যতার কারণে ছেলে রোহিতকে ভরণপোষণ করতে না পারায় জুসের সাথে বিষ মিশিয়ে তাকে হত্যার কথা স্বীকার করে।
এছাড়া এ ঘটনায় বাপ্পী সরদারের কোন সম্পৃক্ততা না থাকায় তাকে তার পরিবারের কাছে তুলে দেয়া হয়। নিহত রোহিত দত্ত শ্যামনগর সদরের হরিতলা গ্রামের মৃত গোপাল দত্তের ছেলে।
শুক্রবার (১৭ মার্চ) সকাল সাড়ে ৯টার সময় ৫ম শ্রেণির ছাত্র রোহিত নকিপুর প্রাথমিক বিদ্যালয়ে যায়। ১১ বছরের স্কুল ছাত্র রোহিত ফিরে আসার পথে কে বা কারা তাকে একটি মাঙ্গো জুস খেতে দেয়। এরপর বেলা ১২টার দিকে বাড়ি এসে সে তার মায়ের দেয়া একটি স্যালাইন পান করার পরপরই ছটফট করতে করতে মারা যায়।
এ ঘটনায় সন্দেহ হলে তার মা সুমিতা দত্ত ও বাপ্পী সরদারকে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য থানায় নিয়ে যায় পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদে সুমিতা দত্ত এই হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করে। পরে পুলিশ ছেলে হত্যার দায়ে মাকে গ্রেপ্তার করে জেল হাজতে প্রেরণ করে।
