নারীদের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করাই তার নেশা, পাওয়া গেল ৪৭ ভিডিও

প্রতীকী ছবি

নারীদের ফাঁদে ফেলে ধর্ষণ করাই তার নেশা, পাওয়া গেল ৪৭ ভিডিও

অনলাইন ডেস্ক

কমপক্ষে ১২ জন নারীকে ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ। সেখানেই থামেননি। ধর্ষণ করে তার ভিডিও তুলে রেখেছিলেন। আদালতে বিচারের সময় সেই ভিডিওই চলছিল এজলাসে।

ভিডিওগুলো এতটাই ‘ন্যক্কারজনক’ যে, আইনজীবীরা বিচারকের কাছে শুনানি শেষ করার আর্জি জানান।  বালেশ ধনখড় নামের এক ভারতীয় যুবকের বিচার চলাকালে এভাবেই বিষয়গুলো সামনে আসে। বর্তমানে নিউ সাউথ ওয়েলসের জেলা কোর্টে এই  বিচার চলছে।

অভিযু্ক্তের ঘরে তল্লাশি চালিয়ে একগুচ্ছ ধর্ষণের ভিডিও উদ্ধার করেছিল পুলিশ।

যাদের ধর্ষণ করেছেন বলে অভিযোগ, তাদের নাম, পরিচয় একটি খাতায় লিখে রাখতেন। অভিযোগ, ঐ তরুণীদের মাদক খাইয়ে নির্যাতন করতেন তিনি। ১৩টি ধর্ষণের মামলা রয়েছে তার বিরুদ্ধে। সম্মতি ছাড়াই যৌন সংসর্গের ভিডিও রেকর্ড করার মামলা রয়েছে ১৭টি। অভিযোগ, নিজের বাড়িতে এবং সিডনির একটি হোটেলে তরুণীদের ডেকে ধর্ষণ করতেন তিনি।

একটি সংবাদপত্র দাবি করেছে, কোরিয়ান নারীদের নিশানা করতেন বালেশ। চাকরি দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দিয়ে তাদের ডাকতেন। তারপর ধর্ষণ করতেন। সেই ধর্ষণের ভিডিও করতেন তিনি।

আদালতে জানিয়েছেন, ইংরেজি জানা কোরিয়ান তরুণীদের নিয়োগ করার বিজ্ঞাপন দিতেন বালেশ। ২০১৮ সালের জানুয়ারি থেকে অক্টোবরের মধ্যে ধর্ষণের ঘটনাগুলো হয়েছে বলে অভিযোগ। সরকারি আইনজীবী আদালতে জানিয়েছেন, ইংরেজি জানা কোরিয়ান তরুণীদের নিয়োগ করার বিজ্ঞাপন দিতেন বালেশ।

তার সঙ্গে চাকরিপ্রার্থীরা যোগাযোগ করলে এক বিলাসবহুল হোটেলে ডেকে পাঠাতেন। সেই হোটেল ছিল তার বাড়ির খুব কাছে। সেখানে নারীদের পানীয়ের প্রস্তাব দিতেন। অভিযোগ, সেই পানীয়তে মেশানো থাকত মাদক।

আদালতে সরকারি আইনজীবী জানিয়েছেন, ঐ পানীয় খাওয়ার পর জ্ঞান হারাতেন তরুণীরা। জ্ঞান যখন ফিরত, তারা দেখতেন বালেশের বিছানায় রয়েছেন। এর পর কিছুই মনে থাকত না নির্যাতিতার। অনেক সময় তারা যে ধর্ষিত হয়েছেন, তা-ও মনে করতে পারতেন না।  

কিন্তু বালেশের কম্পিউটারের হার্ড ড্রাইভে থাকা ভিডিও অন্য কথা বলে। সে সব দেখে শিহরিত হয় পুলিশও। বালেশের হার্ড ড্রাইভ থেকে ৪৭টি ভিডিও উদ্ধার করেছে পুলিশ।

পুলিশের পক্ষে ক্যাটরিনা গাইড জানিয়েছে, সব কয়টি ভিডিও কোরিয়ান নারীদের নির্যাতনের। নির্যাতিতাদের নামে ফোল্ডার তৈরি করেছিলেন বালেশ। তাতেই রাখা থাকত ধর্ষণের ভিডিও। বালেশের ঘরে রাখা থাকত একটি অ্যালার্ম ঘড়ি। তার মধ্যেই রাখা থাকত গোপন ক্যামেরা। নির্যাতিতারা জানতেই পারতেন না, ঘরে ক্যামেরা রয়েছে।

এক নির্যাতিতার অভিযোগ পেয়ে ২০১৮ সালের অক্টোবরে বালেশের ফ্ল্যাটে তল্লাশি চালিয়েছিল পুলিশ। তখনই এই ভিডিও বাজেয়াপ্ত করেছিল। বালেশের ফ্রিজে রাখা বোতলের ওয়াইন এবং পানীয়ের নমুনা সংগ্রহ করে পরীক্ষা করেছিলেন। তাতে দুই রকমের মাদক মিলেছিল।

বালেশের আইনজীবী আদালতে মানতে চাননি যে, তার মক্কেল তরুণীদের অসম্মতিতে সহবাস করেছেন। তাদের অসম্মতিতে ভিডিও রেকর্ড হয়েছে বলেও মানতে চাননি। শুনানির সময় বালেশ যদিও একটা কথাও বলেননি।

সূত্র: আনন্দবাজার

news24bd.tv/আলী