হাসপাতালের বেডে শুয়ে মেয়ের জন্য কাঁদছেন বাবা

সংগৃহীত ছবি

হাসপাতালের বেডে শুয়ে মেয়ের জন্য কাঁদছেন বাবা

অনলাইন ডেস্ক

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ুয়া মেয়ে সুইটিকে (২০) নিয়ে গোপালগঞ্জ থেকে ইমাদ পরিবহনের বাসে করে যাচ্ছিলেন ঢাকা মাসুদ মিয়া। রবিবার (১৯ মার্চ) ভোরে গোপালগঞ্জ থেকে বাসে ওঠেন বাবা-মেয়ে। মাদারীপুরের শিবচরের কুতুবপুর এলাকায় বাসটি পৌঁছালে পদ্মা সেতুর এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে নিচে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলে মারা যান সুইটি।

 

আহত মাসুদ মিয়াকে ভর্তি করা হয়েছে শিবচরের পাঁচচর এলাকার ইসলামিয়া হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টারে। হাসপাতালের বেড়ে শুয়ে মেয়ের জন্য কাঁদছেন এই বাবা।

তিনি জানান, সুইটি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে ইংরেজি বিভাগে দ্বিতীয় বর্ষে পড়তেন। ঢাকার মিরপুরে ভাড়া বাসায় থাকতেন তিনি।

সকালে মেয়েকে ঢাকায় পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন। পথে এই দুর্ঘটনা ঘটে। মাসুদের বাড়ি গোপালগঞ্জ সদরের পাঁচুরিয়া গ্রামে। সেখানেই পরিবার নিয়ে থাকেন। এসেনশিয়াল ড্রাগসে নিরাপত্তরক্ষী হিসেবে কর্মরত আছেন তিনি।

আরও পড়ুন... মাদারীপুরে যাত্রীবাহী বাস খাদে, নিহত বেড়ে ১৮

'শুধু সন্তানকে বুকে জড়িয়ে ধরে আল্লাহকে ডাকছিলাম'

সকালে খুলনা থেকে ছেড়ে আসা ইমাদ পরিবহনের বাসটি। কুতুবপুর এলাকায় পদ্মা সেতুর আগে এক্সপ্রেসওয়ে থেকে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে খাদে পড়ে যায়। ঘটনাস্থলেই ১৪ জন মারা যান। হাসপাতালে নেওয়ার পথে আরও দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। আহত হয়েছেন কমপক্ষে ৩০ জন। বাসটিতে ৫০ জন যাত্রী ছিলেন।

news24bd/ARH