আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে বাংলাদেশের শেষ ওয়ানডে আগামী বৃহস্পতিবার। তার আগে আজ ছিল না কোনো অনুশীলন। বিশ্রামের দিনে কেউ আছেন হোটেলরুমে, কেউ আবার বাইরে ঘুরে বেড়াচ্ছেন। তবে সাকিব আল হাসানের যেন কোনো বিশ্রাম লাগে না।
সিলেটে প্রথম ওয়ানডের পরও ঢাকায় ফিরেছিলেন সাকিব, অংশ নিয়েছিলেন তার বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাবর্তন অনুষ্ঠানে। দ্বিতীয় ওয়ানডে শেষেও তিনি আবার ফিরলেন ঢাকায়। এবার বিমান বাংলাদেশের শুভেচ্ছাদূত হিসেবে যুক্ত হতে।
মঙ্গলবার দুপুরে বিমানের বলাকা কার্যালয়ে এক অনুষ্ঠানে তাকে ব্র্যান্ড অ্যাম্বাসেডর হিসেবে ঘোষণা করা হয়। এসময় বিমানের প্রচারণায় অংশ নিতে চুক্তিপত্রে স্বাক্ষর করেন টাইগার টেস্ট ও টি২০ অধিনায়ক। এরপর গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে কথা বলেন সাকিব।
ক্রিকেটে এতো ব্যস্ততার মধ্যেও মাঠের বাইরের এতদিক কীভাবে সামলান গণমাধ্যম থেকে এ প্রশ্নও করা হয়েছিল সাকিবকে। উত্তরে বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় তারকার অকপট জবাব, ‘যে পারে সে সবই পারে। ’
এদিকে, ছোটবেলায় ক্রিকেটার নয়, কখনো পাইলট, কখনো আবার ডাক্তার হওয়ার বাসনা জাগত সাকিবের মনে। সেই প্রসঙ্গ টেনে সাকিব বলেন, 'শৈশবে পাইলট হতে চেতাম, ডাক্তারও হতে চেয়েছি। ইঞ্জিনিয়ারও হতে চেয়েছি, আল্টিমেটলি ক্রিকেটে শেষ হয়েছে। আমি মনে করি এখন বিমানের সঙ্গে আছি, আমি আমার সর্বোচ্চ প্রচার বা প্রসারের চেষ্টা করব। ’
মাঠের বাইরে একের পর এক বিজ্ঞাপনী কাজ করে যাওয়া সাকিব মাঠেও আছেন দারুণ ছন্দে। দুবাইয়ে পলাতক আসামি আরাভ খান ইস্যুতে জড়ানোর পর আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে মাঠে ফিরেই প্রথম ওয়ানডেতে ব্যাট হাতে করেছিলেন ৯৩ রান। যদিও দ্বিতীয় ওয়ানডেতে তেমন জ্বলে উঠতে পারেননি। এর আগে তার নেতৃত্বে প্রথমবারের মতো ইংল্যান্ডকে টি২০তে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশ।
এদিকে, সাকিবের সঙ্গে চুক্তি স্বাক্ষর অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিমান পরিচালনা পর্ষদের চেয়ারম্যান মোস্তাফা কামাল উদ্দীন, বিমানের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও শফিউল আজিম এবং বিমানের পরিচালকরা।
বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্সের মহাব্যবস্থাপক-জনসংযোগ তাহেরা খন্দকার জানান, ক্রিকেটের বিশ্বসেরা অলরাউন্ডার সাকিব আল হাসানের সঙ্গে ব্র্যান্ডিং ইস্যুতে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে বিমান। এ উপলক্ষ্যে বিমানের প্রধান কার্যালয় বলাকায় দুই পক্ষের মধ্যে আনুষ্ঠানিক চুক্তি স্বাক্ষরিত হয়।
news24bd.tv/SHS
