‘থাপ্পড় দেওয়ায়’ যৌনকর্মীকে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি

সংগৃহীত ছবি

‘থাপ্পড় দেওয়ায়’ যৌনকর্মীকে গলা কেটে হত্যা করেন তিনি

অনলাইন ডেস্ক

ময়মনসিংহের ছোট বাজার এলাকার নিরালা রেস্ট হাউস নামে একটি আবাসিক হোটেল থেকে তরুণীর মরদেহ উদ্ধারের ঘটনায় এক যুবককে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। পুলিশ বলছে, ওই তরুণী একজন যৌনকর্মী ছিলেন। টাকা নিয়ে কথা-কাটাকাটির জেরে গ্রেপ্তারকৃত যুবককে থাপ্পড় দেন ওই তরুণী। আর এতে ক্ষিপ্ত হয়ে তরুণীর গলা ও হাতের রগ কেটে হত্যা করেন তিনি।

আজ মঙ্গলবার বেলা ১১টার দিকে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ের সম্মেলনকক্ষে এসব তথ্য জানান পুলিশ সুপার (এসপি) মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।  

গ্রেপ্তারকৃত যুবকের নাম রাকিবুল ইসলাম রাকিব (২৩)। তিনি মুন্সিগঞ্জ জেলার গজারিয়া উপজেলার নতুন চরচাষী গ্রামের মো. খোকন মিয়ার ছেলে।  

রাকিবুল ইসলামের বরাত দিয়ে পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, আসামি রাকিব পড়াশোনার পাশাপাশি সমাজসেবা অফিসে আউটসোর্সিংয়ের কাজ করেন।

ময়মনসিংহের ভালুকায় কাজের জন্য মঙ্গলবার (১৪ মার্চ) সন্ধ্যা ৭টার দিকে আগারগাঁও অফিস থেকে রওনা দেন। সেখান থেকে মিরপুর শেওড়াপাড়া বাসস্ট্যান্ডে যান। পরে শেওড়াপাড়া ফুটওয়ার ব্রিজ দিয়ে যাওয়ার সময় এক যৌনকর্মী রাকিবকে ডাক দেন। তখন রাকিব তাঁর সঙ্গে ৫ হাজার টাকা চুক্তি করে ময়মনসিংহে যাওয়ার প্রস্তাব দেন এবং ওই যৌনকর্মী ময়মনসিংহে যেতে রাজি হন। পরে সেখান থেকে বাসযোগে ময়মনসিংহে আসেন। আসার পর নগরীর ছোট বাজার এলাকার নিরালা রেস্ট হাউসে স্বামী-স্ত্রী পরিচয়ে চার দিন থাকবেন বলে ২০৯ নম্বর রুম ভাড়া নেন।

আরও পড়ুন : টাকার বিনিময়ে হোটেলে কাজ করতেন মোনালিসা

এসপি আরও বলেন, ‘পরদিন বুধবার সকাল ১০টার দিকে রাকিব ১ হাজার টাকা দেন এবং বাকি ৪ হাজার টাকা দেবে না বলে জানায়। এতে দুজনের কথা-কাটাকাটির জেরে ওই তরুণী রাকিবের গালে থাপ্পড় মারেন। এতে রাকিব ক্ষিপ্ত হয়ে নিচে গিয়ে ১০০ টাকা দিয়ে চাকু কিনে আবারও রুমে এসে তরুণীর গলা চেপে ধরে বাথরুমে নিয়ে গলা কেটে হত্যা করেন। মৃত্যু নিশ্চিত করতে রাকিব ওই তরুণীর দুই হাতের কবজির রগ কেটে মুখে, চাকু দিয়ে আঁচড় দেন। এরপর হোটেলরুমের রক্ত পরিষ্কার করে বাইরে থেকে তালা লাগিয়ে চলে যান। ’

পুলিশ কর্মকর্তা মাছুম আহাম্মদ ভূঞা বলেন, ‘এভাবে দুই দিন রুমের তালা বন্ধ দেখে হোটেল কর্তৃপক্ষ শনিবার পুলিশকে খবর দেয়। পরে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মরদেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠায়। পরে ওই দিন পুলিশ বাদী হয়ে অজ্ঞাতনামা আসামি করে কোতোয়ালি মডেল থানায় মামলা দায়ের করে। মামলার পর সিসিটিভি ফুটেজ ও তথ্যপ্রযুক্তির সহায়তায় গত রোববার রাকিবকে মুন্সিগঞ্জের গজারিয়া থানা এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। তিনি এ ঘটনায় আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দিও দিয়েছেন। ’

এদিকে ওই তরুণীর পরিচয় এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। মরদেহ ময়নাতদন্তের পর ফ্রিজিং করে রাখা হয়েছে। তাঁর পরিচয় শনাক্ত করতে পুলিশ কাজ করছে বলেও জানিয়েছেন পুলিশ সুপার মাছুম আহাম্মদ ভূঞা।

news24bd.tv/আলী