পতনের ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮৬ ব্যাংক

সংগৃহীত ছবি

পতনের ঝুঁকিতে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮৬ ব্যাংক

অনলাইন ডেস্ক

সিলিকন ভ্যালি ব্যাংকের মতো গ্রাহকরা যদি আকস্মিক আমানত তুলে নেন, তবে যুক্তরাষ্ট্রের ১৮৬টি ব্যাংকের পতন ঘটবে।  আস্থার ঘাটতি ও তারল্য সংকটে যুক্তরাষ্ট্রের ব্যাংকিং খাতের যখন টালমাটাল অবস্থা, তখন এমন গবেষণা প্রতিবেদন প্রকাশ করল সোস্যাল সায়েন্স রিসার্চ নেটওয়ার্ক (এসএসআরএ)।

মূলধনসংকটে কিছুদিন আগে তিন দিনের ব্যবধানে বন্ধ হয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্রের সিলিকন ভ্যালি ব্যাংক ও সিগনেচার ব্যাংক। এর পাশাপাশি সংকটে পড়ে বিক্রি হয় সুইজারল্যান্ডের অন্যতম বৃহৎ ব্যাংক ক্রেডিট সুইস।

দরপতন চলছে শেয়ারবাজারেও। বিশ্বের ব্যাংক খাতে পরবর্তী সময়ে কী ঘটছে যাচ্ছে তা নিয়ে উদ্বিগ্ন বর্তমানে বিনিয়োগকারীরা।

গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়, যুক্তরাষ্ট্রের অন্তত ১৮৬টি ব্যাংক পতনের ঝুঁকিতে পড়তে পারে যদি ব্যাংকগুলোর অর্ধেক গ্রাহক তাদের আমানত হঠাৎ তুলে নিতে শুরু করেন। বলা হয়েছে, ব্যাংকগুলোর বীমার আওতায় থাকা আমানতকারী অর্থাৎ যাদের জমা রাখা টাকার পরিমাণ আড়াই লাখ ডলার বা এর কম, তারাও টাকা পেতে সমস্যার মুখোমুখি হতে পারে।

যদি এসব ব্যাংকে এসভিবির মতো সংকট তৈরি হয়।

গবেষণার সঙ্গে যুক্ত এক অর্থনীতিবিদ বলেছেন, ‘তাদের গবেষণা অনুযায়ী এই ব্যাংকগুলোতে সরকারি হস্তক্ষেপ বা পুনঃমূলধনের ব্যবস্থা না করা গেলে এসব আর্থিক প্রতিষ্ঠানের ঝুঁকি কোনোভাবেই কমবে না। ’

এ অবস্থায় উদ্বেগের কারণ হিসেবে বলা হচ্ছে, আর্থিক এসব প্রতিষ্ঠান তাদের সম্পদের বড় অংশ সুদনির্ভর মূল্য সংবেদনশীল উপকরণ যেমন—সরকারি বন্ড ও বন্ধকি সিকিউরিটিজের ওপর নির্ভরশীল। ফেডারেল রিজার্ভ গত এক বছরে সুদের হার বাড়ানোর কারণে পুরনো ও কম সুদের বিনিয়োগও মারাত্মকভাবে ক্ষতির মুখে পড়েছে।

ক্যালিফোর্নিয়াভিত্তিক এসভিবিও তাদের মূলধন দীর্ঘমেয়াদি সরকারি বন্ড আকারেই রেখেছিল। একে প্রাথমিকভাবে নিরাপদ হিসেবেই ধরা হয়। তবে এসভিবি যখন বন্ডগুলো কেনে তখন এগুলোর দাম বেশি ছিল।

সূত্র : দ্য উইক