জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবে লবণাক্ততা বৃদ্ধি পাওয়ায় উপকূলীয় অঞ্চলে সুপেয় পানির তীব্র সংকট। প্রতিদিন পানির চাহিদা বাড়ছে কিন্তু বাড়ছেনা সুপেয় পানির পরিমাণ ও আধার। পানির উৎস পুকুর, দীঘি, জলাশয়, নদ-নদী-খাল-বিল হ্রাস পাচ্ছে। যার বড় কারণ হচ্ছে দখল ও দূষণ।
অংশগ্রহণমূলক পানি ব্যবস্থাপনা, পানি সম্পদের সুষ্ঠু ব্যবস্থাপনা ও নিরাপদ পানি সরবরাহ নিশ্চিত করতে উন্নত প্রযুক্তি উদ্ভাবন করতে হবে। উপকূলে চারিদিকে পানি থৈ থৈ করলেও বাগেরহাট জেলার ৭৩ ভাগ মানুষের নিরাপদ খাবার পানি নাই। বুধবার সকালে বাগেরহাটে সামাজিক সংগঠন উদয়নের উদ্যোগে বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে শহরের খারদ্বার ভিআইপি সড়কে মানববন্ধন ও আলোচণা সভা অনুষ্ঠিত হয়।বাগেরহাট জেলা জলবায়ু অধিপরামর্শক ফোরামের সহসভাপতি মুখার্জী রবিন্দ্র নাথের সভাপতিত্বে উদয়ন অফিসের হল রুমে অনুষ্ঠিত আলোচণা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন, বাগেরহাট জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী জয়ন্ত কুন্ডু।
এদিকে মোংলায় বিশ্ব পানি দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা), সুন্দরবন ও উপকূল সুরক্ষা আন্দোলন, ওয়াটারকিপার্স বাংলাদেশ, লিডার্স ও পশুর রিভার ওয়াটারকিপারের আয়োজনে উপকূলীয় অঞ্চলে সবার জন্য সুপেয় পানি সরবরাহ নিশ্চিত করার দাবিতে খালি কলসি হাতে পুকুরে প্রতীকী অবস্থান কর্মসূচি পালন করে। মোংলায় বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলনের (বাপা) আহ্বায়ক পশুর রিভার ওয়াটারকিপার মো. নূর আলম শেখ। অবস্থান কর্মসূচিতে বক্তব্য দেন বাপা নেতা কমলা সরকার, মার্টিন সরকার, হাছিব সরদার, জলবায়ু যোদ্ধা তন্বী সর্দার, চন্দ্রিকা মন্ডল, প্রভূদান সর্দার, চিন্ময় ঢালী বক্তব্য দেন।
বাগেরহাটে এই দুইটি কর্মসূচি পালন কালে ‘পানি, স্বাস্থ্য ও পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা সমাধানে পরিবর্তন ত্বরান্বিতকরণ’ শ্লোগান নিয়ে বক্তারা পানির অবাধ প্রবাহ ও ন্যায়সঙ্গত ব্যবহার নিশ্চিত করতে হবে। টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে সরকার ২০৩০ সালের মধ্যে নিরাপদ পানির নিশ্চয়তা প্রদান, প্রাকৃতিক পরিবেশ সুরক্ষা ও পানি দূষণ কমানোর দাবি জানান।
বস্তারা বলেন, বাগেরহাটে ৭৩ ভাগ মানুষের নিরাপদ খাবার পানি নাই।
news24bd.tv/তৌহিদ