পুলিশ পরিদর্শক মামুন হত্যা মামলায় অভিযুক্ত আসামি রবিউল ইসলাম ওরফে আরাভ খান যৌন ব্যবসার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। হত্যা মামলায় ১৬৪ ধারার আদালতে দেওয়া আরাভের স্ত্রী সুরাইয়া আক্তার ওরফে কেয়ার স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দিতে এই তথ্য রয়েছে। মামলাটি এখন ঢাকার প্রথম অতিরিক্ত মহানগর দায়রা জজ আদালতে বিচারাধীন।
সুরাইয়া আক্তার কেয়া স্বীকারোক্তিতে বলেন, ফেসবুকের মাধ্যমে রবিউলের সঙ্গে প্রথমে পরিচয় হয় এবং পরে বিয়ে হয়।
সুরাইয়া আক্তার জবানবন্দিতে বলেন, যৌন ব্যবসা পরিচালনার জন্য বনানীতে একটি ফ্ল্যাট ভাড়া নেওয়া হয়েছিল।
তিনি বলেন, ২০১৮ সালের ৮ জুলাই সন্ধ্যার পর জন্মদিনের অনুষ্ঠানের কথা বলে পুলিশ কর্মকর্তা মামুনকে বনানীর ফ্ল্যাটে ডেকে আনা হয়েছিল। পরে তাকে খুন করা হয়।
এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট পুলিশ কর্মকর্তারা বলেন, মামুন হত্যাকাণ্ডের পর রবিউল ভারতে পালিয়ে যান এবং সেখানে বিয়ে করেন তিনি। এরপর ভুয়া নাম-পরিচয় ব্যবহার করে ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে এবং নাম দেন আরাভ খান। এই পাসপোর্টের সাহায্যে পাড়ি জমান সংযুক্ত আরব আমিরাতের দুবাইয়ে।
উল্লেখ্য, ২০১৮ সালের ৯ জুলাই গাজীপুরের কালীগঞ্জ উপজেলায় উলুখোলা এলাকার একটি জঙ্গল থেকে পুলিশ পরিদর্শক মামুনের হাত-পা বাঁধা বস্তাবন্দি পোড়া মরদেহ উদ্ধার করা হয়। সেই খুনের আসামি হয়ে দেশ ছেড়েছিলেন আরাভ খান ওরফে রবিউল ইসলাম। দেশ থেকে পালিয়ে তিনি প্রথমে ভারত যান। কলকাতার একটি বস্তিতে কয়েকবছর বসবাস করার পর তিনি আরাভ খান নামে ভুয়া ভারতীয় পাসপোর্ট তৈরি করে দুবাই চলে যান।
news24bd.tv/কেআই