১০১ মিটার দূর থেকে আর্জেন্টাইন গোলকিপারের গোল 

সংগৃহীত ছবি

১০১ মিটার দূর থেকে আর্জেন্টাইন গোলকিপারের গোল 

অনলাইন ডেস্ক

এও সম্ভব! চিলির শীর্ষ লিগে আর্জেন্টিনার গোলকিপার লিয়ান্দ্রো রেকুয়ানা যে গোলটি করেছেন, তা দেখলে যে কারও মুখ থেকে এ কথাটিই বেরিয়ে আসবে।

ঘটনা গত শনিবারের। কোলো-কোলোর মুখোমুখি হয়ে ৩-১ গোলে জিতেছে কোব্রেসাল। এ ম্যাচেই কোব্রেসালের হয়ে তৃতীয় গোলটি করেন দলটির গোলকিপার রেকুয়ানা।

চিলির সংবাদমাধ্যম টিএনটি স্পোর্টস জানিয়েছে, কোব্রেসাল গোলকিপার গোলটি করেছেন ১০১ মিটার দূরত্ব থেকে!

গিনেস বই এই দূরত্বকে স্বীকৃতি দিলে সর্বোচ্চ দূরত্ব থেকে গোলের রেকর্ড ভেঙে দেবে রেকুয়ানার এই গোল। গিনেসে এখন সবচেয়ে বেশি দূরত্ব থেকে গোলের রেকর্ড ৯৬.০১ মিটার দূরত্ব থেকে।

শনিবার কোব্রেসাল ২-০ গোলে এগিয়ে থাকা অবস্থায় রেকুয়ানা ৭৭ মিনিটে নিজেদের বক্স থেকে বাঁ পায়ের শট নেন। বল বাতাসে ভাসতে ভাসতে গিয়ে পড়ে প্রতিপক্ষ দলের গোলকিপারের সামনে।

কোলো-কোলো ২-০ গোলে পিছিয়ে আছে বলে গোলরক্ষক ব্রায়ান কোর্তেস তখন নিজের জায়গা ছেড়ে বেশ ওপরে উঠে এসেছিলেন। তাই রেকুয়ানার শট নেওয়া বল গতিতে কোর্তেসের সামনে ড্রপ খেয়ে উঠে যায়, এরপর বেরিয়ে যায় তার পাশ দিয়ে।

কোর্তেস একবার হাত দিয়ে ঠেকানোর চেষ্টাও করেছিলেন বটে। তবে নাগাল পাননি। বলের গতি দেখেই হয়তো বিপদ বুঝতে পেরেছিলেন। কিন্তু ততক্ষণে সর্বনাশ যা হওয়ার হয়ে গেছে। বলের পেছনে পড়িমড়ি করে ছুটেও শেষ রক্ষা হয়নি। বল তার আপন গতিতে গড়াতে গড়াতে জালে জড়ায়।

জানা গেছে, রেকুয়ানার অবিশ্বাস্য এই গোলকে গিনেসে ঠাঁই দিতে আবেদন করা হবে। চিলির সংবাদমাধ্যম ‘রেডিও বায়ো বায়ো’কে রেকুয়েনা বলেছেন, ‘ক্লাবের ম্যানেজার হুয়ান সিলভার কাছে জানতে চেয়েছিলাম, গোলটির জন্য গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের আবেদন করা হবে কি না। তিনি বলেছেন, অবশ্যই করা হবে। এখন দূরত্বটা নিশ্চিত হতে হবে। সিলভা জানিয়েছেন, তাকে চিলি ফুটবল ফেডারেশন থেকে ফোন করে বলা হয়েছে মাঠের দৈর্ঘ্যটা নিশ্চিত হতে। এটি ১৫০ মিটারের মতো হবে। আমার বক্সের আয়তন যেহেতু ৫ মিটার, তাই গোলের দূরত্বটা ১০০ মিটার হওয়ার কথা। ’

রেকুয়ানা জানিয়েছেন, কোব্রেসালের স্টেডিয়াম সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে ২ হাজার ৪০০ মিটার উচ্চতায় অবস্থিত। গোলটি হওয়ার পেছনে এ উচ্চতার পরোক্ষ অবদান আছে বলে মনে করেন রেকুয়েনা, ‘আমি কিকটা খুব দ্রুত নিতে চেয়েছিলাম, উচ্চতাসম্পন্ন মাঠে আমরা এটাই করি, যেন প্রতিপক্ষের (ক্লান্তিতে) অমনোযোগি অবস্থায় সুযোগ নেওয়া যায়। আর শটটাও একটু জোরে নিয়েছিলাম...বলটা ড্রপ খাওয়ার পর ব্রায়ান যখন ধরতে পারল না, তখন বুঝেছি, গোল হতে পারে। ’

এদিকে, সংবাদমাধ্যম সিএনএনকে গিনেসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, চিলির ক্লাবটি থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক কোনো আবেদন জমা পড়েনি।

news24bd.tv/SHS