টার্কি মুরগি পালনে ঝুঁকেছেন নাটোরের যুবকরা

নাটোরের সিংড়ায় টার্কি মুরগি পালনে ঝুঁকেছেন যুবকরা

টার্কি মুরগি পালনে ঝুঁকেছেন নাটোরের যুবকরা

নাসিম উদ্দীন • নাটোর প্রতিনিধি

নাটোরের সিংড়ায় টার্কি মুরগি পালনে ঝুঁকেছেন বেকার যুবকরা। উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে এখন তুরস্কের এই গৃহপালিত প্রাণী পালন করা হচ্ছে।  

মুরগি পালনে স্বল্প ব্যয়ে অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ এখন সিংড়ার বেকারদের সামনে। উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় বুলবুল, আরিফুল, মানিক, রাসেলসহ আরও কয়েকজন যুবক টার্কি মুরগি পালন ও বিক্রিকে পেশা হিসেবে বেছে নিয়েছেন।

খোঁজ নিয়ে জানা যায়,  উত্তর দমদমা মহল্লায় টার্কি মুরগির খামার গড়েছেন আব্দুল করিম ও ফেরদৌস রহমান নামে দুই যুবক। তারা ৪ মাস আগে দীর্ঘ দেহের এই মুরগি পালনের সিদ্ধান্ত নেন।  

তারা প্রথমে অনলাইন থেকে তথ্য নেন। এরপর যাদের খামার রয়েছে, সেসব খামার পরিদর্শন করেন।

পরবর্তীতে নিজেরেই টার্কি মুরগি পালন শুরু করেন।  

news24bd.tv

সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, আব্দুল করিম ও ফেরদৌস নিজ বাড়ির আঙিনায় টিন শেডের ঘর করে টার্কি পালন করছেন। বর্তমানে তাদের খামারে ৬৩টি মুরগি রয়েছে। তারা নিয়মিত টার্কির পরিচর্যা করছেন।  

এ প্রতিবেদকের সাথে আলাপকালে তারা জানান, ‘প্রথমে শখের বশে শুরু করেছিলাম। কিন্তু পরবর্তীতে বুঝতে পারলাম এই মুরগি পালন করে স্বাবলম্বী হওয়া সম্ভব। তারপর থেকে দুই বন্ধু পুরোদমে কাজ শুরু করি।  

তারা বলেন, ‘টার্কি ৬ মাস বয়স হলে ডিম পাড়বে। এরপর থেকে একটানা ৯ মাস ডিম পাড়বে। ১০ মাস বয়সের মুরগি ওজনে ৫-৭ কেজি এবং মোরগ ২০ কেজি পর্যন্ত হয়ে থাকে। ’ 

এক মাস বয়সী বাচ্চা ৫০০ টাকা পিস কিনে ব্যবসা শুরু করেন আব্দুল করিম ও ফেরদৌস। ভবিষ্যতে তারা টার্কির ডিম সংরক্ষণ করে বাচ্চা ফুটিয়ে খামার সংখ্যা বাড়ানোসহ এলাকার চাহিদা মেটাতে কাজ করবেন বলে জানান।  

তারা আরও জানান, মুরগি পালনে স্বল্প ব্যয়ে অধিক লাভবান হওয়ার সুযোগ রয়েছে বেকারদের জন্য। এ মুরগি গরমে ভালো থাকে, ঘুম পারে, দিনে দু’বার খাবার দিলেই সুস্থভাবে চলতে পারে। মাঝে মাঝে এসব মুরগি ডাকে। বাজারে বিক্রি হয়  ৪শ টাকা কেজিতে। তাদের খামারে এখন ৪০টি মুরগি ও ২৩টি মোরগ রয়েছে।  

এছাড়া সিংড়ার ইটালি ইউনিয়নের দেঁওগাছা গ্রামের বুলবুল আহমেদ ১০০টি টার্কি মুরগি দিয়ে খামার শুরু করেছেন।

জানা গেছে, বগুড়ার রনবাঘাতে টার্কি মুরগির বিশাল খামার ও হ্যাচারি রয়েছে। সেখান থেকে সিংড়ার অনেকে বাচ্চা সংগ্রহ করে পালন শুরু করেছেন। গাছ,লতা-পাতা, ভাত,গমসহ সব রকম খাবার খায় এই মুরগি। তবে তাদের আলাদাভাবে ফিড সরবরাহ করা হয়। এই মুরগি মাংস খুবই সুস্বাদু ও পুষ্টিকর।

উপজেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডাক্তার গৌরাঙ্গ তালুকদার জানান, সিংড়ায় টার্কি মুরগি পালনের জন্য তারা প্রশিক্ষণ দিচ্ছেন। তাছাড়া আগ্রহী যুবকদেরকেও এ ব্যাপারে পরামর্শ দেয়া হচ্ছে।


নাসিম▐ অরিন▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর