রাঙামাটি ডিসি বাংলোতে ড্রাগন ফলের ব্যাপক ফলন 

রাঙামাটির ডিসি বাংলোতে উৎপাদিত ড্রাগন ফল

রাঙামাটি ডিসি বাংলোতে ড্রাগন ফলের ব্যাপক ফলন 

ফাতেমা জান্নাত মুমু  • রাঙামাটি

রাঙামাটির ডিসি বাংলোতে ড্রাগন ফলের ব্যাপক ফলন হয়েছে। অপরূপ সুন্দর লতানো গাছে এখন কাঁচা-পাকা ড্রাগন ফলের সমারোহ। রসে ভরপুর টসটসে ড্রাগন ফল দেখতে যেমন অদ্ভুত সুন্দর, তেমনি খেতেও দারুণ মজাদার।  

নাইট-কুইন ফুলের মত মধ্য রাতে ড্রাগন ফলের ফুল ফোটে।

সকাল হওয়ার আগেই এ ফুল ফলে রূপান্তরিত হয়ে যায়। তাই সচরাচর ড্রাগন ফলের ফুল দেখার সৌভাগ্য হয় না অনেকেরই।  

জানা গেছে, তৎকালীন রাঙামাটি জেলা প্রশাসক ও বর্তমান বাংলাদেশ মন্ত্রী পরিষদ বিভাগের যুগ্ম সচিব মো. সামসুল আরেফিন সখের বসে বিদেশি প্রজাতির ড্রাগন ফলের বাগান করেছিলেন রাঙামাটি ডিসি বাংলো এলাকায়। এখন সে বাগান ড্রাগন ফলে ভরপুর।

সঠিক পরিচর্যার কারণে গাছগুলো বেশ সতেজ রয়েছে।

news24bd.tv

এ ব্যাপারে সাবেক রাঙামাটি ডিসি মো. সামসুল আরেফিন বলেন, ‘জেলা প্রশাসক থাকাকালীন বৃক্ষমেলা থেকে একটি ড্রাগন ফলের গাছ সংগ্রহ করে ডিসি বাংলোর বাগানে লাগিয়ে ছিলাম। পরে আরও গাছ সংগ্রহ করি। ফলের বাগানে মোট ১০টি গাছ স্থান পায়। সে সময় গাছগুলোর সঠিক পরিচর্যার কারণে অনেক তাড়াতাড়ি বেড়ে ওঠে। কয়েকটা গাছে ফলও আসে। ড্রাগনের ফুল ফুটে রাত ১১টায়। আর ফুল ফোটার সাথে সাথে ঢেকে দিতে হয়। ঢেকে না দিলে ফুল হবে, কিন্তু গাছে ফল হবেনা। এটা করতে হয় শুধু এক রাতের জন্য। ফল পাকতে সাধারণত এক থেকে দেড় মাস সময় লাগে। ’

তিনি আরও বলেন, ‘সাধারণত বাউ ড্রাগন ফল দুই রঙের হয়ে থাকে। সাদা ও লাল। তবে লাল ড্রাগন ফলটি খেতে খুব সুস্বাদু। এ ফলের অনেক ঔষধি গুণ রয়েছে। এ ছাড়া পুষ্টিকর, মিনারেল ও ভিটামিন সমৃদ্ধ। ’

news24bd.tv

বিদেশি জাতের এ ফলটি বাংলাদেশে অনেকটাই দুর্লভ। তবে এখন অনেক অঞ্চলে ড্রাগন ফলের চাষ হচ্ছে। তাছাড়া আবহাওয়া, মাটি ও পরিবেশের ভারসাম্যকে কাজে লাগিয়ে পাহাড়ের ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে তোলা সম্ভব।  

এ ব্যাপারে রাঙামাটি জেলার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক পবন কুমার চাকমা বলেন, ‘পার্বত্যাঞ্চলে এখন ব্যাপক পরিসরে ড্রাগন ফলের বাগান গড়ে উঠছে। পাহাড়ি মাটিতে এ ফলের চাষাবাদ ভালো হচ্ছে। ’

‘গবেষণার প্রাথমিক ফলাফল থেকে ধারণা করা হচ্ছে, পাহাড়ে ড্রাগন ফলের উৎপাদন অধিক মাত্রায় হতে পারে। সঠিক পদ্ধতিতে চাষাবাদ কার গেলে ফল চাষীদের উজ্জ্বল সম্ভাবনা রয়েছে। স্থানীয় কৃষকরাও ড্রগন ফল উৎপাদনের মধ্য দিয়ে সমৃদ্ধশালী হতে পারে। ’


মুমু▐ অরিন▐ NEWS24

সম্পর্কিত খবর