জেলে বসেই চাঁদাবাজি করছে চনপাড়া বস্তির শীর্ষ সন্ত্রাসী বজলু

সংগৃহীত ছবি

জামিনের জন্য অসুস্থতার নাটক

জেলে বসেই চাঁদাবাজি করছে চনপাড়া বস্তির শীর্ষ সন্ত্রাসী বজলু

অনলাইন ডেস্ক

নারায়ণগঞ্জের চনপাড়া বস্তির ডন বজলু অসুস্থতার নাটক করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আশ্রয় নিয়েছে। সেখানে বসেই মোবাইলের ব্যবহার থেকে শুরু করে স্ত্রী সঙ্গ আর পছন্দের খাবার দাবার সবই পাচ্ছেন এই কুখ্যাত সন্ত্রাসী। বস্তিতে মাদকের বখরা, পরিবহন, ছিনতাই আর প্লট ব্যবসার ভাগসহ প্রতিমাসে এখনও বস্তিতে পানির বিল বাবদ সাড়ে ৭ লাখ টাকা উঠছে তার নামে। সেখানে মোবাইল ফোনের অবাধ ব্যবহারের কারনে যখন তখন যার তার সাথে যোগাযোগ করে জামিন তদবিরসহ চাঁদাবাজি করার সুযোগ পাচ্ছে সে।

 

জানা যায়, চনপাড়া বস্তির কু্খ্যাত সন্ত্রাসী বলজুর রহমান বজলু এক সময় পকেটমার থাকলে ২০০৮ সালের পর স্থানীয় এমপির সাথে সখ্যতা গড়ে হয়ে উঠেন বেপরোয়া। অন্তত একডজন হত্যাসহ তার নামে বিভিন্ন সময় অর্ধ শতাধিক মামলা হয়। এসব মামলায় একাধিকবার গ্রেফতার হলেও প্রভাবশালীদের কলকাঠিতে অল্প সময়ে জামিনে বের হয়ে আসে এই সন্ত্রাসী।

সর্বশেষ গত বছরের ১৯ নভেম্বর আলোচিত বুয়েট শিক্ষার্থী ফারদিন হত্যা মামলায় সন্দেহভাজন হিসেবে বজলুকে আটক করে র‍্যাব।

সেসময় তার বিরুদ্ধে র‍্যাবের উপর হামলাসহ বেশ কয়েকটি মামলা চলমান ছিল। গ্রেফতারের সময় বজলুর কাছ থেকে একটি বিদেশি পিস্তল, একটি ম্যাগাজিন, পাঁচ রাউন্ড গুলি, ২২০ গ্রাম হেরোইন, ২৫ হাজার ভারতীয় রুপি ও ৭৫ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করে র‍্যাব। র‍্যাবের দায়ের করা চারটি পৃথক মামলায় সে এতোদিন জেল হাজতে থাকলেও জামিন লাভের কৌশল হিসেবে বর্তমানে অসুস্থতার অভিনয় করে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ৪ তলার ২৬ নাম্বার বেড এ রয়েছেন সন্ত্রাসী বজলু।  সেখানে তার প্রতিক্ষণে সঙ্গী হিসেবে থাকছেন স্ত্রী সেলিনা। সেখানে সে 01711349592 নাম্বার ব্যবহার করে জামিন তবদির করাচ্ছেন।

তাছাড়া সূত্র মতে, বিশাল ও অত্যন্ত ঘিঞ্জি এবং ঘনবসতিপূর্ণ এই চনপাড়া বস্তিটি ৯টি এলাকায় বিভক্ত। এই এলাকার শীর্ষ ৫-৬টি মাদক কারবারির প্রধান সমন্বয়ক ও গডফাদার ছিলেন বজলুর রহমান ওরফে বজলু। বস্তি এলাকার মাদকের প্রায় ২০০টি স্পট থেকে কয়েকটি সিন্ডিকেটের মাধ্যমে বজলু এই ব্যবসা পরিচালনা করে আসছিল। সে জেলে থাকায় তার দুই ভাই মিরজু ও কাশেম সে ব্যবসা দেখাশোনা করছে। আর ম্যানেজার মামুন প্রতি মাসে সাড়ে ৭ লাখ আদায় করছে বস্তির মানুষের কাছে।

তার মোবাইল নাম্বারে মন্ত্রী থেকে শুরু করে আইনজীবি শিশি মণি ও ব্যারিস্টার আমিনুলের সাথে যোগাযোগ করছেন। পাশাপাশি চাদাবাজি আর অবৈধ ব্যবসা বানিজ্যও সামলাচ্ছেন সে।  

ইতিমধ্যে বস্তিতে তার জামিনের গুঞ্জনে আতংক তৈরী হয়েছে। সে সত্যিকারভাবে অসুস্থ কিনা সে বিষয়টি খতিয়ে দেখার দাবি তুলেছেন সাধারন মানুষ।
news24bd.tv/AA