মোংলা বন্দরে নতুন রেকর্ড

মোংলা বন্দরে নতুন রেকর্ড

শেখ আহসানুল করিম, বাগেরহাট

মোংলা বন্দর প্রতিষ্ঠার ৭৩ বছরের মধ্যে এই প্রথম ৮ মিটার গভীরতার একটি বাণিজ্যিক জাহাজ পণ্যবোঝাই করে বন্দর জেটি ত্যাগ করেছে। সিঙ্গাপুরের পতাকাবাহী ‘এমভি মার্কস শিয়ামেন’ নামে এই জাহাজটি মঙ্গলবার বিকেলে পণ্যবোঝাই ২২১টি কন্টেইনার নিয়ে মোংলা বন্দরের ৬ নম্বর জেটি ত্যাগ করে।

এর আগে সোমবার বিকেলে এমভি মার্কস শিয়ামেন জাহাজটি ১১০টি পণ্যবোঝাইসহ ১৭৯টি কন্টেইনার নিয়ে মোংলা বন্দর জেটিকে নোঙর করে। মোংলা বন্দরে এত গভীরতার অন্যকোনো জাহাজ জেটিতে নোঙর করেনি।

৮ মিটার গভীরতার েবাণিজ্যিক জাহাজ জেটিতে নোঙর ও পণ্যবোঝাই করে সিঙ্গাপুরের উদ্দেশে বন্দর জেটি ত্যাগ করার মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরে সৃষ্টি হয়েছে নতুন রেকর্ড। মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষ এ তথ্য নিশ্চিত করেছে।

এমভি মার্কস শিয়ামেন জাহাজটির শিপিং এজেন্ট ওশান ট্রেড লিমিটেডের ম্যানেজার (শিপিং) এম এন আলম জানান, প্রতিনিয়ত ড্রেজিং করার ফলে পশুর চ্যানেল ইনার বারসহ মোংলা বন্দর জেটি এলাকার গভীরতা অনেক বেড়েছে। এই অবস্থায় ৭৩ বছরের মধ্যে এই প্রথম ৮ মিটার গভীরতার এমভি মার্কস শিয়ামেন জাহাজটি সিঙ্গাপুর থেকে সোমবার বিকেলে ১১০টি পণ্যবোঝাইসহ ১৭৯টি কন্টেইনার নিয়ে মোংলা বন্দর জেটিকে নোঙর করে।

জেটিতে ড্রেজিংয়ের ফলে তারা আট মিটার গভীরতার জাহাজ ভেড়ানো সম্ভব হয়েছে। মঙ্গলবার বিকেলে ইপিজেড কার্গো, পাট ও পাটজাত পণ্য, হিমায়িত চিংড়িসহ মাছ, ট্রাভেল-লাগেজ ব্যাগ, কটনইয়ার্ন ও টাইলস ভর্তি ২২১টি কন্টেইনার নিয়ে সিঙ্গাপুরের উদ্যেশে জাহাজটি মোংলা বন্দরের ৬ নম্বর জেটি ত্যাগ করেছে।

এরআগে বন্দর চ্যানেরের ইনার বারে গভীরতা না থাকায় ৭ থেকে সাড়ে সাত মিটার গভীরতার জাহাজে করে কন্টেইনার বা অন্যান্য পণ্য আমদানি করা হতো মোংলা বন্দরের মাধ্যমে।

মোংলা বন্দর কর্তৃপক্ষের চেয়ারম্যান রিয়ার এডমিরাল মীর এরশাদ আলী জানান, ‘এমভি মার্কস শিয়ামেন’ নামে ৮ মিটার গভীরতার কন্টেইনারবাহী জাহাজটি বন্দর জেটিতে নোঙর ও পণ্যবোঝাই করে বন্দর ত্যাগের মধ্য দিয়ে মোংলা বন্দরের ৭৩ বছরের নতুন অধ্যায়ের সৃষ্টি হয়েছে।

বর্তমান সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় মোংলা বন্দর এখন বিশ্বমানের বন্দরে রূপান্তরিত হয়েছে।

দেশের আমদানি-রপ্তানি বাণিজ্যের দ্বিতীয় লাইফ লাইন এই বন্দনটি এখন জাতীয় অর্থনীতিকে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করছে। ড্রেজিংয়ের কারণে মোংলা বন্দর জেটিতে এই প্রথম আট মিটার গভীরতার জাহাজ ভিড়েছে। এখন থেকে আট মিটার গভীরতার জাহাজ আসতে আর কোনও বাধা থাকবে না এবং ভবিষ্যতে ৯ থেকে ১০ মিটার জাহাজ কীভাবে এখানে ভেড়ানো যায় সে লক্ষ্যে কাজ করা হচ্ছে। বন্দরের অধিকতর সক্ষমতা বৃদ্ধিতে বড় কর্মযজ্ঞ চলছে। এসব কারণে এই বন্দর ব্যবহারে ঢাকার গার্মেন্টসসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীদের আগ্রহ বেড়েছে।

news24bd.tv/তৌহিদ

এই রকম আরও টপিক