মিশরের রাজধানী কায়রোর একটি অ্যাপার্টমেন্ট থেকে এক দম্পতির মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। স্থানীয় পুলিশ জানিয়েছে, প্রথমে স্ত্রীকে নির্মমভাবে হত্যা করেন স্বামী। এরপর লাশ গুমের উদ্দেশে মরদেহ টুকরো টুকরো করছিলেন তিনি। ঠিক ওই সময়ই তার হার্ট অ্যাটাক হয়।
ওই দম্পতির দু’জনেরই বয়স ছিল ২০ বছরের কাছাকাছি।
রাজধানী কায়রোর আল-মার্জ বিভাগের গভর্নর জানিয়েছেন, মৃত্যুর অন্তত ৪ দিন পর অ্যাপার্টমেন্ট থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়।
পুলিশের তদন্তে বের হয়ে এসেছে, ওই ব্যক্তির সঙ্গে নারীর আগে প্রেমের সম্পর্ক ছিল।
তবে যে অ্যাপার্টমেন্টে এমন মর্মান্তিক ঘটনা ঘটেছে, সেই অ্যাপার্টমেন্টের এক প্রতিবেশী জানিয়েছেন, ওই নারী-পুরুষ বিবাহিত ছিলেন। যেদিন হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটে এর ২০ দিন আগে তাদের মধ্যে ঝগড়া হয়। আর ওই ঝগড়ার জেরে স্ত্রী বাড়ি ছেড়ে চলে গিয়েছিলেন। এরপর আবার কখন তিনি ফিরে এসেছিলেন তা কেউ জানে না। এছাড়া হত্যাকাণ্ড ঘটার সময়ও কেউ তা টের পাননি।
মরদেহ পঁচে যখন বাড়ি থেকে দুর্গন্ধ বের হচ্ছিল তখন প্রতিবেশীরা পুলিশকে খবর দেয়।
পুলিশ জানিয়েছে, তারা ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখতে পান নারীর মরদেহ টুকরো টুকরো অবস্থায় একটি ঝুড়িতে রাখা আছে। আর তার স্বামী পাশে মরে পড়ে আছেন।
একজন প্রতিবেশী বলেছেন, “ওইখানকার দৃশ্য ছিল ভয়ানক…তার (স্ত্রীর) দেহ বিকৃত অবস্থায় ছিল। আর এর পাশেই সে (স্বামী) মৃত অবস্থায় পড়ে ছিল।
সূত্র: আল আরাবিয়া নিউজ, রোয়া নিউজ
news24bd.tv/আইএএম