বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে হবু স্ত্রীর অসম্মতি, রাগের চোটে খুন!

প্রতীকী ছবি

বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্কে হবু স্ত্রীর অসম্মতি, রাগের চোটে খুন!

পশ্চিমবঙ্গের জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জে বিয়ের আগে শারীরিক সম্পর্ক করতে অপরাগতা জানানোর কারণে হবু বৌকে খুন করেছেন হবু বর। রাজগঞ্জহত্যা মামলার তদন্তে এমনই চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছে জলপাইগুড়ি পুলিশ।  সূত্রের খবর, আটক হবু বর নিজেই সে কথা স্বীকার করেছেন। তার দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে পুকুর থেকে উদ্ধার হয়েছে মৃতের মোবাইল এবং ওড়না।

গত বৃহস্পতিবার জলপাইগুড়ির রাজগঞ্জের সন্ন্যাসীকাটা অঞ্চলে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় নাদিমা খাতুন নামে এক যুবতীর। ওই ঘটনায় মউমিন নামে একে যুবককে গ্রেফতার করে পুলিশ। তার সঙ্গে নাদিমার বিয়ের কথাবার্তা চলছিল।

কিন্তু কী কারণে হবু স্ত্রীকে খুন করতে পারেন মউমিন? এই প্রশ্নের জবাব খুঁজতে গিয়ে চাঞ্চল্যকর তথ্য পেয়েছেন তদন্তকারীরা।

পুলিশ সূত্রে খবর,আটককৃত মউমিন খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছেন। তিনি জানিয়েছেন সে দিন পুকুরপাড়ে নিয়ে গিয়ে নাদিমার গলায় ওড়না পেঁচিয়ে হত্যা করেন তিনি। তার পর হবু বৌয়ের দেহ পুকুরের পানিতে ফেলে দিয়ে পালিয়ে যান। প্রমাণ লোপাট করার জন্য নাদিমার ওড়না এবং মোবাইল ফোন ফেলে দিয়েছিলেন পুকুরের পানিতে। যাতে মনে হয় পানিতে ডুবে তার মৃত্যু হয়েছে।

রাজগঞ্জ থানার আইসি পঙ্কজ সরকার জানান, ময়নাতদন্তের রিপোর্ট দেখে তারা নিশ্চিত হন নাদিমাকে প্রথমে শ্বাসরোধ করে খুন করা হয়েছে। ওই ঘটনার তদন্ত করতে গিয়ে অভিযুক্তের মোবাইলের টাওয়ার লোকেশন ট্র্যাক করে দুয়ে দুয়ে চার করেছেন তদন্তকারীরা। তারা জানতে পারেন ঘটনার দিন অর্থাৎ বৃহস্পতিবার রাত থেকে শুক্রবার রাত পর্যন্ত হবু বৌয়ের বাড়ির কাছাকাছি ছিলেন মউমিন। পুলিশি জেরায় তিনি নাকি স্বীকার করেন বিয়ের আগেই নাদিমার সঙ্গে শারীরিক সম্পর্ক করতে চেয়েছিলেন। কিন্তু তাতে সায় ছিল না নাদিমার। বৃহস্পতিবার রাতে নাদিমাকে ফোন করে দেখা করার কথা বলেছিলেন তিনি। নাদিমাকে আবার ঘনিষ্ঠ হওয়ার প্রস্তাব দেন। কিন্তু তিনি রাজি না হওয়ায় রাগের মাথায় তাকে খুন করে ফেলেছেন তিনি।

মঙ্গলবার নাদিমার ওড়না এবং মোবাইল ফরেনসিক পরীক্ষার জন্য পাঠানো হচ্ছে। সেই রিপোর্ট হাতে এলে সমস্ত তথ্যপ্রমাণ আদালতে জমা দেওয়া হবে জানিয়েছে পুলিশ।

news24bd.tv/আলী