প্রথম আলোর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

সংগৃহীত ছবি

প্রথম আলোর সাংবাদিকের বিরুদ্ধে ডিজিটাল আইনে মামলা

প্রথম আলোর সাংবাদিক শামসুজ্জামানের বিরুদ্ধে রাজধানীর তেজগাঁও থানায় ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে মামলা হয়েছে। মামলাটি করেছেন রাজধানীর কল্যাণপুরের বাসিন্দা সৈয়দ মো. গোলাম কিবরিয়া।

স্বাধীনতা দিবসে মিথ্যা ও বানোয়াট তথ্য দিয়ে সংবাদ প্রকাশের অভিযোগ এনে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে তার বিরুদ্ধে মামলাটি করা হয়। এজাহারে বলা হয়, দৈনিক প্রথম আলো অনলাইন পত্রিকায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবসে মিথ্যা এবং বানোয়াট তথ্য ও ছবিযুক্ত সংবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।

এর মাধ্যমে মানহানিকর তথ্য প্রচার ও প্রকাশ করে দেশের স্বাভাবিক আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি ঘটানোর সম্ভাবনা সৃষ্টি ও সহায়তা করে অপরাধ করা হয়েছে। এই অভিযোগে ২০১৮ সালের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫(২), ২৬(২), ২৯(১), ৩১(২) ও ৩৫(২) ধারায় এ মামলা দায়ের করা হয়।

এজাহারে বলা হয়, সামাজিক মাধ্যমে সংবাদটি ভাইরাল হয়। সংবাদটি দেশ ও বিদেশে অবস্থানরত হাজার হাজার মানুষ তাদের ব্যবহৃত সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে স্ক্রিনশটসহ শেয়ার করেন।

এই ঘটনায় বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসে বাংলাদেশের সোনালী গৌরবউজ্জ্বল ভাবমূর্তি নিয়ে বাংলাদেশের জনগণসহ বহির্বিশ্বে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়। বাংলাদেশের মহান স্বাধীনতা দিবসের দিনে এই সংবাদ প্রকাশ করায় বিশ্বব্যাপী দেশের ভাবমূর্তি ও স্বাধীনতার অর্জন নিয়ে আলোচনা-সমালোচনা শুরু হয়।

পরে ৭১ টিভি চ্যানেলে প্রকাশিত সংবাদে জানা যায়, প্রথম আলো উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে মিথ্যা পরিচয় ও মিথ্যা উদ্ধৃতি দিয়ে সংবাদটি পরিবেশন করেছে। যে শিশুটির কথা প্রথম আলোর রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে তার সম্পর্কে ভুল তথ্য দেওয়া হয়েছে। নাম পরিচয় ভুলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে। পত্রিকায় বলা হয় শিশুটির নাম জাকির হোসেন, কিন্তু অনুসন্ধানে দেখা যায় ওই শিশুর নাম সবুজ আহমেদ। তার বাড়ি সাভার থানাধীন কুরগাঁও পাড়ায়। তার বাবা পেশায় রাজমিস্ত্রি, মা মুন্নী বেগমের তিন সন্তানের মধ্যে মেজো সন্তান সবুজ। প্রথম আলোর তথ্যে বলা হয়েছে, সে দিনমজুর। কিন্তু সাতবছরের শিশু সবুজ আহমেদ প্রথম শ্রেণিতে পড়াশুনা করে এবং স্কুল শেষে মাঝে মাঝে ফুল বিক্রি করে।

এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, ‘আইন আইনের গতিতে চলে এবং চলবে। কেউ কারোর বিরুদ্ধে সংক্ষুব্ধ হলে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নিতেই পারে। ’