সৌদিতে নিহতদের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম

সৌদিতে নিহতদের গ্রামের বাড়িতে চলছে শোকের মাতম

নিজস্ব প্রতিবেদক

ছোট ভাইয়ের সাথে মুঠোফোনে কথা হচ্ছিল। হঠাৎ বিকট শব্দ, এরপর নীরবতা। এভাবেই সৌদি আরবে ওমরাহ করতে যাওয়া সড়ক দুর্ঘটনার বর্ণনা দেন এই ঘটনায় নিহত কক্সবাজারের মহেশখালীর যুবক শেফায়েতুলের বড় ভাই জাহেদুল ইসলাম।

একই ঘটনায় প্রাণ হারিয়েছেন মহেশখালীর আরেক যুবক আসিফ।

দুই বাড়িতে চলছে শোকের মাতম। আত্মীয় স্বজনদের আহাজারিতে ভারী হয়ে উঠেছে সেখানকার বাতাস। কান্নাজড়িত কণ্ঠে ভাই হারানোর আক্ষেপ প্রকাশ করছিলেন নিহত শেফায়েতুলের বড় ভাই জাহেদুল ইসলাম।

ছোটভাইয়ের মৃত্যুর ঘটনার বর্ণনা দিয়ে জাহেদুল বলেন, দুর্ঘটনার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত পরিবারের সদস্যদের সাথে কথা বলছিলেন তিনি।

নিচ্ছিলেন সবার খোঁজ খবর। এসময় কান্নায় ভেঙে পড়েন নিহত শেফায়েতুলের বাবা নুরুল ইসলাম

একই বাসে ছিলেন একই এলাকার আরেক সন্তান আসিফ। এই ঘটনায় প্রাণ হারান তিনিও। জোয়ান ছেলেকে হারিয়ে শোকে পাথর বাবা নির্বাক বসে আছেন বাড়ির উঠানে। একমাত্র উপার্জনক্ষম ছেলেকে হারিয়ে পাগলপ্রায় পরিবারের অন্য সদস্যরা।

এসময় মহেশখালীর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মোহাম্মদ ইয়াছিন সন্তান হারানো পরিবারগুলোর সদস্যদের সমবেদনা জানান। আসিফের পরিবারকে দেন নগদ আর্থিক সহযোগিতা।

প্রবাসে জীবিকার সন্ধানে গিয়ে প্রাণ হারানো ব্যক্তিদের মৃতদেহ শেষবারের মতো দেখতে চান পরিবারের সদস্যরা। এ ব্যাপারে চান সরকারের সহযোগিতা।

সৌদি আরবে বাস দুর্ঘটনায় নিহত বাংলাদেশি ওমরাহ যাত্রীর সংখ্যা বেড়ে ১৮ জনে দাঁড়িয়েছে। একইসাথে সেখানকার হাসপাতালে ভর্তি আরও ১৬ বাংলাদেশি। বুধবার (২৯ মার্চ) রাতে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় এ তথ্য জানিয়েছে। নিহতদের নামসহ পরিচয়ও প্রকাশ করেছে মন্ত্রণালয়।

news24bd.tv/FA