ইফতারের সময় দোয়া নিশ্চিত কবুল হয়

সংগৃহীত ছবি

ইফতারের সময় দোয়া নিশ্চিত কবুল হয়

অনলাইন ডেস্ক

ইফতারের আগ মুহূর্ত দোয়া কবুল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে রোজাদার ক্ষুধা-পিপাসায় ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকে। এ সময়ে তাই দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বেশি।

ইফতারের আগের সময়টা আমাদের খুবই ব্যস্তময় কাটে।

ইফতারের সামগ্রী তৈরি ও সাজানোতে সময়টা হয়ে ওঠে সারাদিনের সবচেয়ে ব্যস্ত সময়। কিন্তু শত ব্যস্ততার মধ্যেও আমাদের গুরুত্বের সঙ্গে স্মরণ রাখতে হবে-এটা নিশ্চিত দোয়া কবুলের সময়।

ইবনে মাজাহর বর্ণনাতে আছে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন: ‘ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া নিশ্চয় ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ’

রাসুল (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া।

’ (বায়হাকি, হাদিস : ৩/৩৪৫; সিলসিলাতুস সহিহা, আলবানি : ১৭৯৭)

বাইহাকির বর্ণনাতে আছে, ‘মহান আল্লাহ্ রমজান মাসে প্রতিদিন ইফতারের সময় ৬০ হাজার লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। ’ তিরমিযির রেওয়াতে আছে, ‘মহান আল্লাহ্ রমজান মাসের প্রত্যেক রাতে বহু জাহান্নামীকে মুক্তি দেন। ’

এসব হাদিসের বিবেচনায় বোঝা যায়, ইফতারের আগের সময়গুলো মুমিন জীবনের জন্য অতি মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইফতারের আগের সময় অন্য কাজে ব্যয় না করে আল্লাহর দরবারে ব্যয় করুন। যেন আপনার নাম, আপনার স্বজনদের নাম মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।

ইফতারের আগের দোয়া
উচ্চারণ
: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিজের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)

রাসুলুল্লাহ (সা.) অসংখ্য হাদিসে যথাসময়ে ইফতার করার জন্য বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ যতদিন ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে ইফতার করবে; ততদিন তারা কল্যাণ লাভ করবে। ’

ইফতারের সময় করণীয়
১. সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা।
২. ইফতারের সময় অন্য কাজে ব্যস্ত না হয়ে ইফতার করা।
৩. ইফতারের সময় বেশি বেশি দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা।
৪. খেজুর, সাদা পানি কিংবা দুধ দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ জামাতে পড়া।
৫. ইফতারে দেরি করে জামাত তরক না করা।
. ইফতারের সময় ভারী খাবার না খাওয়া। বরং মাগরিবের নামাজ আদায় করে তৃপ্তিসহ পরিমাণ মতো খাবার খাওয়া। আর তাতে শরীর থাকে সুস্থ ও সবল। ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার খেলে জামাআত ও ইবাদত থেকে বঞ্চিত হতে হয়।

news24bd.tv/desk

এই রকম আরও টপিক