ইফতারের আগ মুহূর্ত দোয়া কবুল হওয়ার গুরুত্বপূর্ণ সময়। ইফতারের পূর্ব মুহূর্তে রোজাদার ক্ষুধা-পিপাসায় ক্লান্ত-শ্রান্ত থাকে। এ সময়ে তাই দোয়া কবুলের সম্ভাবনা বেশি।
ইফতারের আগের সময়টা আমাদের খুবই ব্যস্তময় কাটে।
ইবনে মাজাহর বর্ণনাতে আছে, মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম ইরশাদ করেছেন: ‘ইফতারের সময় রোজাদারের দোয়া নিশ্চয় ফিরিয়ে দেওয়া হয় না। ’
রাসুল (সা.) বলেন, ‘তিন ব্যক্তির দোয়া অগ্রাহ্য করা হয় না (বরং কবুল করা হয়); পিতার দোয়া, রোজাদারের দোয়া এবং মুসাফিরের দোয়া।
বাইহাকির বর্ণনাতে আছে, ‘মহান আল্লাহ্ রমজান মাসে প্রতিদিন ইফতারের সময় ৬০ হাজার লোককে জাহান্নাম থেকে মুক্তি দেন। ’ তিরমিযির রেওয়াতে আছে, ‘মহান আল্লাহ্ রমজান মাসের প্রত্যেক রাতে বহু জাহান্নামীকে মুক্তি দেন। ’
এসব হাদিসের বিবেচনায় বোঝা যায়, ইফতারের আগের সময়গুলো মুমিন জীবনের জন্য অতি মূল্যবান ও গুরুত্বপূর্ণ। তাই ইফতারের আগের সময় অন্য কাজে ব্যয় না করে আল্লাহর দরবারে ব্যয় করুন। যেন আপনার নাম, আপনার স্বজনদের নাম মুক্তিপ্রাপ্তদের তালিকায় অন্তর্ভুক্ত হয়।
ইফতারের আগের দোয়া
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রহিমিন।
অর্থ : হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিযিজের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুআজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)
রাসুলুল্লাহ (সা.) অসংখ্য হাদিসে যথাসময়ে ইফতার করার জন্য বিশেষভাবে তাগিদ দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘মানুষ যতদিন ইফতারের সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে দেরি না করে ইফতার করবে; ততদিন তারা কল্যাণ লাভ করবে। ’
ইফতারের সময় করণীয়
১. সময় হওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ইফতার করা।
২. ইফতারের সময় অন্য কাজে ব্যস্ত না হয়ে ইফতার করা।
৩. ইফতারের সময় বেশি বেশি দোয়া ও ক্ষমা প্রার্থনা করা।
৪. খেজুর, সাদা পানি কিংবা দুধ দিয়ে ইফতার করে মাগরিবের নামাজ জামাতে পড়া।
৫. ইফতারে দেরি করে জামাত তরক না করা।
৬. ইফতারের সময় ভারী খাবার না খাওয়া। বরং মাগরিবের নামাজ আদায় করে তৃপ্তিসহ পরিমাণ মতো খাবার খাওয়া। আর তাতে শরীর থাকে সুস্থ ও সবল। ইফতারের সময় অতিরিক্ত খাবার খেলে জামাআত ও ইবাদত থেকে বঞ্চিত হতে হয়।
news24bd.tv/desk